আবরার হত্যায় এবার দায় স্বীকার রবিনের
আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোয়াজ্জেম হোসেন রবিনের স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর রবিনসহ ১০ আসামির পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে সিএমএম আদালত।
এনিয়ে মামলাটিতে পাঁচ জন আসামি দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন। অপর চারজন হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. অনিক সরকার, উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক ইফতি মোশাররেফ সকাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও শিক্ষার্থী মো. মুজাহিদুর রহমান। তারা সবাই এখন ছাত্রলীগ ও বুয়েট থেকে বহিষ্কৃত।
এছাড়া মামলাটিতে রিমান্ড শেষে কারাগরে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহতামিম ফুয়াদ, কর্মী মুনতাসির আল জেমি, গ্রন্থ ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইসাতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির ও মিজানুর রহমান।
রিমান্ডে রয়েছেন, বুয়েট ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিত সাহা, বুয়েটের শিক্ষার্থী শামীম বিল্লাহ, মুয়াজ ওরফে আবু হুরায়রা, মো. মনিরুজ্জামান মনির, আকাশ হোসেন, সাসছুল আরেফিন রাফাত ও হোসেন মোহাম্মাদ তোহা।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র আবরার ফাহাদকে শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/আরজেড/জেবি)