খালেদার মুক্তি চেয়ে রিজভীর মশাল মিছিল

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৩৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইস

দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার দাবিতে নয়াপল্টনে মশাল মিছিল করেছে বিএনপি।

সোমবার সন্ধ্যায় মিছিলটি নয়াপল্টপন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

এতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, যুবদলের ঢাকা দক্ষিণের গোলাম মাওলা শাহীনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে অংশ নেন।

মিছিলের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে আমরা মশাল মিছিল করলাম। এটা হচ্ছে দ্রোহের আগুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আগুন। আমরা সরকারের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে এই টর্চ মিছিল করে আসছি। এই সরকারের বিরুদ্ধে যেকোনো প্রতিবাদ করার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত।

‘খালেদা জিয়াকে হয়ত সারা জীবনই জেলে কাটাতে হবে’- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের এই বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কথাতে যে দেশনেত্রী জেলে গেছেন-এটা মাহবুবউল আলম হানিফের এই কথাই প্রমাণিত হলো। আপনারা দেশ বিক্রি করবেন, মাটি বিক্রি করবেন, পানি বিক্রি করবেন, আপনারা আমাদের উপকূল অন্যকে পর্যবেক্ষণ করার সুযোগ দেবেন- এর বিরুদ্ধে যার কন্ঠ আপোষহীন ধারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে শক্তিশালী করার জন্য সোচ্চার থাকবেন তাকেই তো আপনারা জেলে রাখবেন।

সরকারে উদ্দেশ্য করে রিজভী আরো বলেন, ‘আপনারা অন্ধকার করেছেন গণতন্ত্রকে হত্যা করে, আপনারা অন্ধকার করেছেন বাক স্বাধীনতা হরণ করে, আপনারা অন্ধকার করেছেন খালেদা জিয়াকে বন্দি করে। তাই এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে মশালের আলোতে আমরা এই সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্তি করব, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।

গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে আছেন বেগম খালেদা জিয়া। গত এপ্রিল থেকে কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন আছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে কর্মসূচি শেষ করে ফেরার পথে কয়েকজন নেতাকর্মীকে নয়াপল্টন থেকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিপুণ রায়।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/বিইউ/ইএস)