টাকার লোভে বন্ধুর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যা

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২১:০৩ | আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা মা ও তার চার বছরের এক মেয়েকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রাইজ উদ্দিন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনিই এই ঘটনার মূল হোতা বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আট লাখ টাকার লোভে তিনি বন্ধুর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও শিশু মেয়েকে হত্যা করেন।  

সোমবার দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলনে জানান এসব তথ্য।

গ্রেপ্তার রাইজ উদ্দিন টাঙ্গাইল শহরের চরপাতুলি এলাকার মৃত সুকুম উদ্দিনের ছেলে। ওই এলাকা থেকে রবিবার রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, রাইজ উদ্দিন নিহত লাকী আক্তারের স্বামী আল আমিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আল আমিন বিকাশের ব্যবসা করতেন। সেই কারণে তার বাসায় নগদ টাকা রাখতেন। আর রাইজ উদ্দিন তা টের পেয়ে সেই টাকা নেয়ার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাইজ উদ্দিন আল আমিনের বাসায় গিয়ে প্রথমে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লাকী আক্তারকে ছুরিকাঘাত করেন।পরে ঘটনাটি তার মেয়ে আলিফা দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করেন। এসময় ওই ঘরে থাকা নগদ আট লাখ টাকা নিয়ে রাইজ উদ্দিন পালিয়ে যান।

পুলিশ সুপার আরও জানান, রাইজ উদ্দিনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাড়ির মুরগির খোয়াড় থেকে পুরো টাকা ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোঁড়া এবং তার রক্তমাখা লুঙ্গি-শার্ট উদ্ধার করা হয়। রাইজ উদ্দিন পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়।

শনিবার রাতে টাঙ্গাইল পৌর শহরের ভাল্লুককান্দী এলাকায় ফোন-ফ্যাক্স ব্যবসায়ী আল আমিনের স্ত্রী লাকী আক্তার (২২) ও তার মেয়ে আলিফাকে (৪) কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করা হয়। পরে নিহতের বাবা হাসমত আলী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/আরকে/জেবি)