মাঠের আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা বুয়েট শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ | ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০৫ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৩৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রশাসনের তৎপরতায় ‘সদিচ্ছা’ দেখে মাঠ পর্যায়ের আন্দোলনের ইতি টেনেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ^বিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তবে আবরার ফাহাদকে খুনে জড়িতদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালে বুয়েট শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন প্রতিনিধি এই ঘোষণা দেন।

এসময় তিনি জানান, বুধবার বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ‘গণশপথে’ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে রুখে দেওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন তারা। আর এর মধ্য দিয়েই তাদের মাঠের আন্দোলনের ‘আপাতত’ ইতি টানা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীরা বলেন, আবরার হত্যাকাণ্ডে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিচ্ছে তাতে তারা সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগে তারা কোনো একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। খুনিদের সঙ্গে তারা একই ক্যাম্পাস শেয়ার করতে চান না।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, আপাতত আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালেও আবরার হত্যার বিচার প্রক্রিয়া কোনো ধরনের বাধাগ্রস্ত হলে প্রয়োজনে তারা আবার মাঠে ফিরবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারীদের একজন বলেন, ‘খুব স্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই, মাঠ পর্যায়ে যে আন্দোলন, তার আপাতত ইতি টানলেও আমরা অবশ্যই সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকব, আমাদের দাবিদাওয়াগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রশাসন নিশ্চিত করছে কি না।’

‘এবং ফাইনালি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা (আবরার হত্যা মামলার) চার্জশিট দাখিলের পর সেটার ভিত্তিতে অপরাধীদের একাডেমিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো রকম একাডেমিক কার্যক্রমে অংশ নেবে না।’

আবরার হত্যাকে ঘিরে বিভিন্ন মহল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন জানিয়ে এর জন্য বিভ্রান্ত না হতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই হত্যার বিচারসহ ১০ দফা দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস।

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। বুয়েটের কোনো শিক্ষার্থী ছাত্ররাজনীতিতে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। আবরারকে হত্যায় তার পিতার করা মামলায় যে ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে তাদেরও সাময়িক বহিষ্কার করেছে বুয়েট প্রশাসন।

(ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/এসআর/জেবি)