উত্তরাখণ্ড রাজ্যে ৩য় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সংস্কৃত বাধ্যতামূলক
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়ে সংস্কৃত ভাষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অরবিন্দ পান্ডে বলেন,‘‘সংস্কৃত আমাদের প্রাচীন ও ধর্মীয় ভাষা। আমাদের অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে যে এইভাষা আমাদের সংস্কৃতিকে পরিমাপের বাইরেও সমৃদ্ধ করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের এই ভাষার জ্ঞান থাকা উচিত।’’
ইতোমধ্যে, সব বিদ্যালয়ে এই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সংস্কৃত পাঠ্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য শিগগিরই নির্দেশনা প্রণীত হবে।
এর আগে সংস্কৃতি ভাষাকে রাজ্যের সরকারি ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছিল উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকার।
সংস্কৃত একটি ঐতিহাসিক ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা এবং হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের পবিত্র ধর্মীয় ভাষা। বর্তমানে ভারতের ২২টি সরকারি ভাষার অন্যতম হচ্ছে সংস্কৃত। ইউরোপে লাতিন বা প্রাচীন গ্রীক ভাষার যে স্থান, বৃহত্তর ভারতের সংস্কৃতিতে সংস্কৃত ভাষার সেই স্থান। ভারতীয় উপমহাদেশ বিশেষত ভারত ও নেপালের অধিকাংশ আধুনিক ভাষাই সংস্কৃত দ্বারা প্রভাবিত।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে সংস্কৃত হল আনুষ্ঠানিক ভাষা। হিন্দু ধর্মে প্রার্থনা ও মন্ত্র সবই সংস্কৃতে লিখিত। বিজেপি শাসিত নরেন্দ্র মোদি সরকার ভারতে হিন্দু ধর্মের পুনরুজ্জীবনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হিন্দু ধর্মের চেতনা প্রসারের উদ্দেশ্যেই উত্তরাখণ্ডে সংস্কৃত ভাষাকে শিক্ষায় বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/আরআর