টর্চার সেল না থাকার বিবৃতি: জানেন না স্বাক্ষরকারী!

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ২১:১৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে কোনো টর্চার সেল নেই বলে সম্প্রতি হল সংসদ থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে সেটি সম্পর্কে স্বাক্ষরকারীদের অনেকেই অবগত নন। ওই বিবৃতিতে এমন কয়েকজনের নামও দেখানো হয়েছে যারা ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন। ওই রকম একটি বিবৃতি যাচাইবাছাই ও স্বাক্ষরকারী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদকে তার হলে নির্মমভাবে হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হলে টর্চার সেলের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন।

তারই মধ্যে গেল সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও টর্চার সেলের খোঁজ দেয় কয়েকটি গণমাধ্যম। এরপর আবাসিক হলে ‘টর্চার সেল’ নেই সম্প্রতি এমন বিবৃতি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল সংসদ।

এসব হলের ছাত্র প্রতিনিধিদের সবাই ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন অথবা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবে এসব বিবৃতিতে যাদের স্বাক্ষর রয়েছে তাদের অনেকেই পূজার ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করছেন। তারা বিবৃতি সম্পর্কে জানেনই না।

জানা গেছে, ঢাবিতে ছাত্রলীগের টর্চার সেল থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ‘কোনো টর্চার সেল নেই’ এমন বিবৃতি দিতে ছাত্রলীগ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হল সংসদের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

তেমনই একটা বিবৃতি যেটা সূর্যসেন হল সংসদ থেকে দেয়া হয়েছিল। যেখানে হল সংসদে নির্বাচিত সকল প্রতিনিধির স্বাক্ষর দেখা যায়।

তবে সূর্যসেন হলে সংসদে নির্বাচিত কয়েকজন প্রতিনিধির সাথে কথা বলে পাওয়া গেছে ভিন্ন তথ্য। এসব প্রতিনিধি জানেন না এ বিবৃতি সম্পর্কে।

তাদের একজন সূর্যসেন হল সংসদের বহিরাঙ্গন ক্রিড়া সম্পাদক মো. জুলহাস সুজন ঢাকা টাইমসকে বলেন, আমি গত দশদিন ধরে বাড়িতে। টর্চার সেল সম্পর্কিত কোনো বিবৃতি সম্পর্কে জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ সম্পর্কিত কোনো বিবৃতি সম্পর্কে আমি জানি না। আর আমার সাক্ষর কে দিয়েছে সেটা সম্পর্কেও আমি অবগত নই। তবে আমি সাক্ষর দেইনি।’

এ বিষয়ে হল সংসদের সহ-সভাপতি মো. মারিয়াম জামান খান সোহান বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। সকল সম্পাদক এবং সদস্য থেকে স্বাক্ষর সাধারণত হল সংসদের সাধারণ সম্পাদক নিয়ে থাকেন।’

‘তবে বিবৃতিটি তড়িঘড়ি করে দেয়ার কারণে সাক্ষর সংগ্রহের কাজটি হলের পিওনদের দেয়া হয়েছে। তারাই এটি সংগ্রহ করেছে। তবে আমি জানি হল সংসদের সকলে এই বিষয়ে একমত। কেউ ভিন্নমত পোষণ করার কথা না।’

ঢাকাটাইমস/১৫অক্টোবর/ইএস/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :