কাশ্মীরে নারীদের বিক্ষোভ, এসএমএস পরিষেবা বন্ধ

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১০:২৪ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকে কার্যত অবরুদ্ধ রয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। দুই মাসেরও বেশি সময় পার হলেও অবস্থা খুব একটা বদলায়নি। রাজ্যজুড়ে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিল করছে প্রশাসন। এমন অবস্থায় মঙ্গলবার কাশ্মীরের রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন কাশ্মীরী নারীরা। রাজ্যের মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রের শাসনে রাজ্যকে ভাগ করার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন তারা।

শ্রীরগরের প্রতাপ সিংহ পার্ক এলাকায় হওয়া এই বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন রাজ্যের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহর বোন সুরাইয়া ও মেয়ে সাফিয়া। বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে এই প্রথম পথে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন নারীরা। বিক্ষোভের পর কাশ্মীরে এসএমএস পরিষেবা বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এছাড়া একাধিক বিক্ষোভকারী নারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সাবেক প্রধান মুসলিম জান ও লেখিকা কুরাত উল ইনের মতো বিশিষ্টজনরাও। অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী যশবন্ত সিন্‌হার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর সদস্য যশোদা ভারতীও হাজির ছিলেন।

প্ল্যাকার্ডের পাশাপাশি হাতে কালো ব্যান্ডও পরে বিক্ষোভ করেন তারা। কিন্তু তাদের দাঁড়াতেই দেয়নি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, কাশ্মীরে এখনও ১৪৪ ধারা কার্যকর আছে। তা ভেঙে জমায়েত করায় বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপিকা মুসলিম জান বলেন, ‘বিশেষ মর্যাদা লোপ ও রাজ্য ভাগের একতরফা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে কাশ্মীরি মহিলারা পথে নেমেছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে কাশ্মীরিদের চূড়ান্ত অপমান করা হয়েছে’।

তার কথায়, ‘কাশ্মীর কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের চেহারা নিয়েছে। রোজ নতুন বাঙ্কার আর শিবির তৈরি করছে বাহিনী। বাসিন্দাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই’।

লেখিকা কুরাত উল ইনের দাবি, ‘এখনই বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। প্রতিদিন বিনা প্ররোচনায় যুবকদের জন সুরক্ষা আইনে বন্দি করা হচ্ছে’।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, জাতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশেও কাশ্মীরের সঠিক ছবি তুলে ধরা হচ্ছে না।

ঢাকা টাইমস/১৬অক্টোবর/একে