বাংলাদেশি সমর্থকের অভিনব প্রতিবাদ

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৪১ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:৪৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারত-বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়। এসময় গ্যালারিতে এক বাংলাদেশি সমর্থক ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাংলাদেশ-ভারত কোয়ার্টার ফাইনালে রোহিত শর্মার বিতর্কিতভাবে আউট না দেওয়ার বিপক্ষে প্ল্যা-কার্ড নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন। যেখানে লেখা ছিল ‘রোহিত শর্মা আউট ছিল’। তাকে সমর্থন দিচ্ছিলো আরেক ভারতীয়।

ঘটনাটা সাড়ে চার বছর পূর্বের, প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ে টাইগাররা। কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। 

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় দুই প্রতিবেশী দল। টস জিতে ভারত অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৭৫ রানে ধাওয়ান, ৭৯ রানে কোহলি এবং ১১৫ রানে অজিঙ্কা রাহানেকে হারিয়ে চরম চাপে পড়ে যায় ভারত। তবে সুরেশ রায়না ও রোহিত শর্মা জুটি গড়ে টিম ইন্ডিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। প্রথম বিতর্কটা হয় এই জুটির মধ্যেই।

ঘটনাটি ঘটে ইনিংসের ৪০তম ওভারের ৪র্থ বলে। রোহিত শর্মা তখন ছিলেন ৯১ রানে। ভারত তখন ৩ উইকেটে ১৯৪। টাইগার পেসার রুবেলের ফুলটস বলে ইমরুল কায়েসের কাছে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ২২ গজ ছাড়ছিলেন রোহিত। হঠাৎ স্কয়ার লেগ আম্পায়ার আলিম দারের কল, এটা নাকি নো বল। ফিল্ড আম্পায়ার ইয়াল গোল্ডও ঘোষণা করলেন, এটা নো বল, এতে রোহিত আউট হননি!

বলটি উঁচু হলেও নো বল বলার মতো উঁচু ছিল না। এমনকি আম্পায়ারকে বিভ্রান্ত করতে পারে এমন উঁচুতেও ছিল না। তারপরও  ইয়াল গোল্ড ও আলিম দারের নো বলের সিদ্ধান্ত নিয়ে ততক্ষণাৎ প্রশ্ন তোলেন ধারাভাষ্যে থাকা শেন ওয়ার্ন। কোমরের নিচের বলকে কীভাবে আম্পায়ার আউট দেয়? বলে অবাকও হয়েছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত সে আউটটি নট আউট হয়ে জীবন পেয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন রোহিত শর্মা। ভারত পায় ৩০২ রানের পুঁজি। রোহিত শর্মাকে তখন আউট করা গেলে হয়তোবা ২৭৫-৮০ এর মধ্যেই আটকানো যেত। ৩০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ বেশিদূর আগাতে পারেনি। ৪৫ ওভারে ১৯৩ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ভারত জয়ী হয় ১০৯ রানে। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন রোহিত শর্মা।

ওই ম্যাচকে ঘিরে ক্রিকেট বিশ্বে শুরু হয় তুমুল সমালোচনা। অনেক ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার ও কিংবদন্তিরা আইসিসির সমালোচনা করে বাজে আম্পায়ারিং এর জন্য। যাতে ভারতীয় সাবেক ক্রিকেটাররাও শামিল ছিলেন। 

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর গতকাল সেই আউটকে নিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে সেই বাংলাদেশি সমর্থক।

হাইভোল্টেজ ম্যাচটি দেখার জন্য ৮৫ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।

(ঢাকাটাইমস/১৬ অক্টোবর/এআইএ)