বড় উত্থানের পর বড় পতন

টানা ছয় কার্যদিবস দরপতনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগের সংবাদে মঙ্গলবার সূচকের যে বড় উল্লম্ফন ঘটেছিল তা বজায় থাকেনি এক দিনও। আজ  বুধবার সূচক আবার উল্টোযাত্রা করেছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব কটি সূচকের পতনের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশির ভাগ  প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর।

আজ  ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৭৮১ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৮ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে নেমে আসে।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৩৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৫টির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। কমেছে ২৫৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর।

এই বাজারে আজ  মোট ৩২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা গতকালের চেয়ে তিন কোটি ৪৮ লাখ টাকা কম।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ২১ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল টিউবসের ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা সামিট পাওয়ারের লেনদেন হয় ১৩ কোটি টাকার শেয়ার।

শীর্ষ দশ লেনদেনের অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- গ্রামীণফোন, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ফরচুন সুজ, মুন্নু জুট স্টাফলার্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল, প্যারামাউন্ট ইনস্যুরেন্স ও মুন্নু সিরামিক।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক সিএএসপিআই ৯১ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৫৫৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এই বাজারে লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ ২৪৭ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৯টির দাম বেড়েছে; কমেছে ১৫৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ারদর।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/মোআ)