বড়পুকুরিয়ার ২ সাবেক এমডিসহ ৩ জন কারাগারে

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:৩৩ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদক, দিনাজপুর

কয়লা দুর্নীতির মামলায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন আত্মসমর্পণের পর তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। দুই ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন- হাবিবউদ্দীন আহমেদ ও আবু তাহের মো. নূর-উজ জামান। আর অন্যজন হলেন স্টোর বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) একেএম খালেদুল ইসলাম।

বুধবার দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভুঞা এ আদেশ দেন। এছাড়া মামলার ২০ আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে একই আদালত। এর আগে মঙ্গলবার একই আদালত ওই ২৩ জনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেছিল।

জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গত ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মুল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা ৮২ হাজার পাঁচশত এক টাকা চুরাশি পয়সা) চুরি যাওয়ার অভিযোগ উঠে।

এই ঘটনায় বড় পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ২০১৮ সালের ২৪শে জুলাই পার্বতীপুর থানায় ১টি মামলা করে। মামলাটি পরবর্তীতে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামসুল আলমের পক্ষে দুদক দিনাজপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ২০০৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত তাদের মেয়াদকালে ঘাটতি হওয়া ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯৯ মেট্রিক টন কয়লা আত্মসাতে জড়িত, যার বাজার মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা।

এতে আরও বলা হয়, আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

অভিযোগপত্রে এজাহারনামীয় ছাড়াও নয়জনকে যুক্ত করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় পাঁচজনকে জনকে আসামি থেকে বাদ দেয়ার কথা বলা হয়।

ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/ডিএম