ড. এরতেজার পক্ষে পুরস্কার নিলেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ২১:২৬ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৪৩

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ড. কাজী এরতেজা হাসানকে দেয়া প্রতিবেশী দেশ ভারতের সম্মানজনক মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন দেশটির সাবেক সেনাপ্রধান জে জে সিং। তিনিসহ মালয়েশিয়ান মানবাধিকার সংগঠক ড. জুলি মায়াও এবার পুরস্কারটি পেয়েছেন।

১৫ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে ভারতের প্রভাবশালী মেধাভিত্তিক সংগঠন দিল্লি স্টাডিজের পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিজয় জলী।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাবেক সংসদ সদস্য ও দলটির সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বিজয় জলী তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের বন্ধুত্ব আরও বেশি ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন ড. এরতেজা হাসান। মেধাভিত্তিক রাজনীতি করা, দৈনিক ভোরের পাতা ও দ্যা পিপলস টাইমস সম্পাদক ও প্রকাশক, এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান নিরলসভাবে দুই দেশের একজন সম্পর্ক উন্নয়নের প্রমোটার হিসাবে বাংলাদেশ থেকে তিনিই এ পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য লোক মনে করায় তা দেয়া হলো। এই পুরস্কার ভবিষ্যতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে আরও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করবেন ড. কাজী এরতেজা হাসান-এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন বিজয় জলী।

ড. কাজী এরতেজা হাসান ছাড়াও এবার মহাত্মা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল জে জে সিং, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিপিএইচ)র সভাপতি অলক কুমার, ফ্রেঞ্চ কাউন্সিলের সদস্য সরদার বিবেক পাল এবং মালয়েশিয়া থেকে ড. জুলি মায়া।

অনুষ্ঠানে ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, রোমানিয়া, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া, ভুটান, তাইওয়ান, গ্রিস, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, নেপাল, মরিশাস, মালদ্বীপসহ আরও কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ছাড়াও ভারতীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভারতের বিখ্যাত কবি গজেন্দ্র সোলাঙ্কি অনুষ্ঠানে বীর রাসের কবিতা আবৃত্তি করেন।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির থিংক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত দিল্লি স্টাডিজের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ড. কাজী এরতেজা হাসান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হিসাবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তার স্বীকৃতি হিসাবে এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়েছে।

সম্মানজনক মহাত্নাগান্ধী শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির পর ড. কাজী এরতেজা হাসান বলেন, ‘এ পুরস্কার  আমি বাংলাদেশ-ভারতের সব মানুষের জন্যই উৎসর্গ করছি। ব্যস্ততার কারণে সরাসরি নিজে গিয়ে পুরস্কারটি গ্রহণ করতে পারিনি। তবে মঙ্গলবার এ পুরস্কার প্রাপ্তির অনুষ্ঠানটি আমি পুরোটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের লাইভে দেখেছি। দিল্লি স্টাডিজের পক্ষ থেকে আমাকে সম্মানিত করায় তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে দুই দেশের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে কাজ করে যাবো। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন, সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, এর আগেও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন ড. কাজী এরতেজা হাসান। গত বছরের জুন মাসে জাতিসংঘের সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব হিউম্যানিটি’উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডেভেলমেন্ট কমিশনের চেয়ারপারসন ড. কাজী এরতেজা হাসান। পাশাপাশি জাতিসংঘের ‘বিশ্ব শান্তির দূত’ হিসেবেও ভূষিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য এবং ধর্মবিষয়ক উপকমিটির সদস্য কাজী এরতেজা।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/জেবি)