মধুখালিতে সড়ক নির্মাণ কাজে দুর্নীতির অভিযোগ
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা হতে জামালপুর রাস্তার উন্নয়নের কাজে ধীরগতি ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ফরিদপুর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীনে এ রাস্তাটির কাজ চলছে।
জানা গেছে, ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুখালী উপজেলা হতে জামালপুর বাজার পর্যন্ত নয় কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়নের কাজ চলছে। গোপালগঞ্জের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীর হাবিবুল ইসলাম ও সরদার এন্টারপ্রাইজ জেভি নির্মাণ কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহু বছরের পচা ইট ও পুরান বালু এবং রাবিশ ইট ভেঙে খোয়া তৈরি করে রাস্তার সাববেজে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া পুরান রাস্তার কার্পেটিং তুলে খোয়ার সাথে মিশিয়ে সেগুলো আবার ব্যবহার করা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ৫০% বালু, ৫০% ১নং ইটের খোয়া মিশ্রন করে সাববেজ করার কথা থাকলেও ৭৫-৮০ ভাগ বালু/কাদা মাটি দিয়ে তার উপর নিম্নমানের ৩নং ইটের খোয়া ছিটিয়ে সাববেজের কাজ করা হচ্ছে। তাছাড়া নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখা এবং রাস্তা নির্মাণে বিলম্ব হওয়ায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
অসাধু ঠিকাদারদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব নির্মাণ কাজ নিম্নমানের হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা নুরু মণ্ডল।
এ বিষয়ে সওজ ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৗশলী নাকিবুল ইসলাম জানান, মে মাসে এই প্রতিষ্ঠান দুটিকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে যত্রতত্র মালামাল না রাখার ব্যাপারে সতর্ক করেছি। যে অভিযোগগুলো উঠেছে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেব। এই রাস্তার কাজ বাবদ পুরান ইট কাজে লাগানোর দায়ে বিল থেকে কর্তন করা হবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবের কাছে রাস্তার উন্নয়ন কাজের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি ঠিকাদারের চাকরি করি। তার কথা মত রাস্তার কাজ করে যাচ্ছি।
এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যে এই অভিযোগ পেয়েছি। আজই আমি সরজমিনে গিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক নাছিমের সঙ্গে মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হয়তো কিছু কিছু স্থানে ভুলবশত কাজের মান খারাপ হয়েছে। সাববেজে অনেক স্থানে পুরান কার্পেটিংয়ের অংশ ব্যবহার হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন আর হবে না।
(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এলএ)