ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেল ওয়ালটন

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২২:০৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রযুক্তি পণ্যের দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। ডিজিটাল ডিভাইসে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগের সফল রূপকার। সাশ্রয়ী দামে সর্বাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ উচ্চমানের ডিজিটাল ডিভাইস দিয়ে দেশ-বিদেশে ওয়ালটন একটি প্রশংসিত নাম।দেশীয় প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন শিল্পে যা প্রতিনিধিত্ব করছে সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের।এর স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটন পেল ‘ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’।

১৪অক্টোবর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয় ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো২০১৯’। সরকারের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যেগে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তথ্য-প্রযুক্তিবিষয়ক এ মেগাইভেন্টের প্লাটিনাম স্পন্সর ছিল ওয়ালটন।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের সমাপনী অনুষ্ঠান এবং অ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠিত হয়।সেখানেই ওয়ালটনকে পুরস্কৃত করা হয়।মেলায় শৈল্পিক ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়ন স্থাপন করে বেস্ট প্যাভিলিয়নের পুরস্কারও পেয়েছে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাক, টেলি যোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ. কে. এম. রহমতউল্লাহ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস এলায়েন্স-এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. জেমস (জিম) পয়জান্ট, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির প্রেসিডেন্ট শহিদ উল মুনির এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।

ওয়ালটনের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান ও তাপস কুমার মজুমদার, অপারেটিভ ডিরেক্টর তৌফিক-উল-কাদের এবং ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ রোবেল ইসলাম।

উল্লেখ্য, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ এবং সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চমানের পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিতে ২০০৮ সালে ওয়ালটন দেশেই চালু করে রেফ্রিজারেটর এবং এয়ারকন্ডিশনার তৈরির পূর্ণাঙ্গ কারখানা।২০১০ সালে শুরু হয় টেলিভিশন এবং হোম অ্যাপ্লায়ান্স তৈরি।২০১৭ সালে ওয়ালটন চালু করে দেশের প্রথম এবং একমাত্র কম্প্রেসর উৎপাদন কারখানা। ২০১৭ সালে ওয়ালটনই বাংলাদেশে প্রথম মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা চালু করে।২০১৮ সালে ওয়ালটন দেশেই কম্পিউটার,ল্যাপটপ এবং আইসিটি পণ্য উৎপাদন শুরু করে।প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার অগ্রযাত্রায় যা বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

পুরস্কার গ্রহণ করে জাহিদ হাসান বলেন,ওয়ালটনের নিজস্ব কারখানায় তৈরি ইলেকট্রনিক্স ও আইসিটিসহ বিভিন্ন ডিভাইস দেশের চাহিদা মিটিয়ে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে।এসব দেশে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা ওয়ালটন পণ্য সুনাম কুড়িয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/এলএ)