চারঘাট সীমান্তে গোলাগুলি নিয়ে বিজিবির বিবৃতি

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৫২

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

রাজশাহীর চারঘাটে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত হিসেবে বর্ণনা করেছে বাংলাদেশে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

গতকাল রাতে এক বিবৃতিতে বিজিবি জানায়, অবৈধভাবে মাছ শিকারকালে আটক জেলেকে ছাড়িয়ে নিতে বিএসএফের জওয়ানরা অবৈধভাবে সীমান্ত ডিঙিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এবং জোর করে জেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি ছোড়ে।

বিবৃতিটি প্রায় হুবহু নিচে দেওয়া হলো: 

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজশাহী ব্যাটালিয়নের চারঘাট বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক ৩৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে পদ্মা নদীর পাড়ে তিনজন ভারতীয় জেলে ইঞ্জিনচালিত নৌকা নিয়ে মাছ ধরছিলেন। এ সময় চারঘাট বিওপির টহল দল মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান তদারকির জন্য উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট আবু রায়হান এবং আরও দুজন সহকারীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজন জেলেকে অবৈধ কারেন্ট জালসহ আটক করেন। অন্য দুজন জেলে ভারতের দিকে নৌকা নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে বিএসএফের ১১৭ ব্যাটালিয়নের কাগমারী বিওপি থেকে স্পিডবোট করে চারজন সশস্ত্র বিএসএফ সদস্য (একজন ইউনিফর্ম পরিহিত, অন্যরা হাফপ্যান্ট ও গেঞ্জি পরিহিত) চারঘাট উপজেলার বালুঘাট এলাকার শাহারিয়াঘাটের বড়াল নদীর মুখে আনুমানিক ৬৫০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে অনুপ্রবেশ করলে চারঘাট বিওপির টহল দল তাদের বাধা দেয়।

বিএসএফ সদস্যরা আটক জেলেকে জোর করে ফিরিয়ে নিতে চাইলে বিজিবি টহল দল জানায়, পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিয়মমাফিক জেলেকে ফেরত দেওয়া হবে। বিজিবি টহল দল বিএসএফ সদস্যদের আরও স্মরণ করিয়ে দেয়, তারাও (বিএসএফের চার সদস্য) অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন, তাই তাদেরও পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তখন বিএসএফ সদস্যরা আতঙ্কিত হয়ে জোরপূর্বক জেলেকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে চাইলে বিজিবি সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে ফায়ার করে এবং ফায়ার করতে করতে স্পিডবোট চালিয়ে যেতে থাকে। তখন আত্মরক্ষার্থে বিজিবি টহল দল পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ বিষয়ে সন্ধ্যায় অধিনায়ক রাজশাহী ব্যাটালিয়ন এবং কমান্ড্যান্ট ১১৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পতাকা বৈঠকে জানা যায়, গোলাগুলির ঘটনায় বিএসএফের একজন সদস্য নিহত এবং একজন সদস্য আহত হয়েছেন।

পতাকা বৈঠকে উভয়পক্ষ তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে এবং আরও আলোচনার জন্য আবার পতাকা বৈঠক করবে বলে একমত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/মোআ)