গণভবনে যুবলীগের বয়সসীমা নিয়েও আলোচনা হবে: কাদের

প্রকাশ | ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:০৪ | আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:০৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের জাতীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আগামী রবিবার বিকালে গণভবনে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে দলটির নেতা হওয়ার জন্য বয়সসীমা কী হবে সেটা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে বনানীতে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা জানান।

প্রতিষ্ঠাকালে ৪০ বছর বয়সিরা যুবলীগের নেতৃত্ব দিতে পারবেন এমন বিধান ছিল গঠনতন্ত্রে। কিন্তু ১৯৭৮ সালের দ্বিতীয় কংগ্রেসের পর এই বিধানটি বিলুপ্ত করা হয়। ৬ষ্ঠ জাতীয় কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন ৬৪ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী, বর্তমানে তার বয়স ৭১। এ ছাড়াও সংগঠনটির সিনিয়র নেতাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৬০ পার হয়েছে।

এই অবস্থান যুবনেতাদের বয়স কত হবে তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আর আগামী ২৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলের বিষয়ে দিকনির্দেশনা নিতে আগামী রবিবার বিকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে প্রেসিডিয়ামের সদস্যরা। এই বৈঠকে থাকছেন না সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুবলীগ নিয়ে রবিবার গণভবনে মিটিং ডেকেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চেয়ারম্যানকে সেখানে ডাকা হয়নি। সেখানে কাকে ডাকবেন আর কাকে ডাকবেন না, সেটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয়। এটা পার্টি অফিসে ডাকা হলে আমি বলতে পারতাম। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যুবলীগকে গণভবনে ডেকেছেন। সেখান থেকে যাদের বলা হয়েছে, তারাই মিটিংয়ে যাবেন।’

বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘কথায়-কথায় অভিযোগ করা বিএনপির রোগে পরিণত হয়েছে। অভিযোগ আর নালিশ ছাড়া তাদের ( বিএনপি) কিছু করার নেই। বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্বজ্ঞানহীন সব কর্মকাণ্ডই তারা করেছে। বিএনপি গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে আসুক আমরা সেটা আশা করছি৷’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। তারা এখন শুধু ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে। বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডেও ইস্যু খোঁজার চেষ্টা করেছিল। তাদের ইস্যু খুঁজে পাওয়ার রাজনীতিতে জনগণ সাড়া দেবে না। আমার চাই তারা (বিএনপি) গণতান্ত্রিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসুক।’  

শেখ রাসেলের হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘মানবসভ্যতার ইতিহাসে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে কোনো নারী বা অবলা শিশুকে টার্গেট করা হয় না। কিন্তু, বাংলাদেশে সব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ও কারবালার নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নারী-শিশু হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ১০ বছরের অবুঝ শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, হাছান মাহমুদ, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা।

কেন্দ্রীয় কমিটির ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, যুব মহিলা লীগ, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন  সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষে থেকে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/টিএ/জেবি)