ইলিশ রক্ষায় পুলিশের ‘ধাওয়া’, পানিতে ডুবে প্রবাসীর ‘মৃত্যু’

ঝালকাঠির রাজাপুরের পশ্চিম বড়ইয়া গ্রামের কলাকোপা এলাকায় ইলিশ রক্ষা অভিযানে তাড়া খেয়ে নালায় ডুবে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দাবি, অভিযানে কাউকে ধাওয়া করা হয়নি। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে অভিযান হয়নি।

শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রবাসী বাবুল হাওলাদারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাবুলের লাশ উদ্ধারের স্থানে বা তার সাথে কোনো ইলিশ পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকালে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহত বাবুল চর উত্তমপুর গ্রামের মৃত ইউসুব আলী হাওলাদারের ছেলে।

পুলিশ জানায়, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নিধন করা মা ইলিশ দুইটি বস্তায় করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে উত্তমপুর-কলাকোপা-বড়ইয়া সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইউএনও সোহাগ হাওলাদার। স্থানীয়দের অভিযোগ, সন্ধ্যার পরে এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে কলাকোপা এলাকায় অভিযানের তাড়া খেয়ে নিখোঁজ হন প্রবাসী বাবুল। পরে রাতে ওই এলাকার একটি গভীর নালার মধ্যে তাকে মৃত অবস্থায় দেখে স্বজনরা পুলিশ খবর দেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

রাজাপুরের ইউএনও সোহাগ হাওলাদার দাবি করেন, অভিযানে কাউকে ধাওয়া করা হয়নি। যেখানে লাশ পাওয়া গেছে সেখানে তারা যাননি। রাস্তা দিয়ে ইলিশ পাচারের সংবাদ পেয়ে মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হয় এবং তিনজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে দেড় মণ ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। তাদের ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

ঝালকাঠির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে শনিবার সকালে উপজেলার সাউথপুর এলাকায় একটি ইটবহন করা ট্রলিতে ১ মণ ইলিশ ফেলে পালিয়েছে পাচারকারীরা।

ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/ইএস