নলডাঙ্গায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:২৮

রাজশাহীর বাগমারার এক কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ছাত্রীর নাম তামান্না সুলতানা ওরফে টিয়া (১৭)। সে উপজেলার সমসপুর গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে।

শনিবার বেলা ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ক্ষুদ্রবাড়িয়াহাটি গ্রাম থেকে পুলিশ তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত টিয়া নলডাঙ্গার সাধনপুর পঙ্গু শিশু নিকেতন স্কুল ও কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলো। তার বাবা আবদুর রশিদের অভিযোগ, টিয়াকে অপহরণের পর ধর্ষণ শেষে হত্যা করে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

তিন বলেন, টিয়ার সঙ্গে শান্ত ইসলাম নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শান্তর বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা সদরে। শান্ত এবং টিয়া বিয়ের জন্য অভিভাবকদের চাপ দিত। তবে দুই পরিবারের কেউ এ বিয়ের ব্যাপারে রাজি ছিলেন না।

এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শান্ত কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে। এ সময় তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির কাছে নলডাঙ্গা থানার ক্ষুদ্রবাড়িয়াহাটি গ্রামের একটি আম গাছে মেয়ের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে তিনি মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। নলডাঙ্গা থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ একঘণ্টা পরে মরদেহ উদ্ধার করে।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মেয়ের বাড়ি বাগমারায়। তবে মরদেহটি মেয়ের বাড়ির কাছাকাছি নলডাঙ্গা থানার ভেতরে পাওয়া গেছে। এ কারণে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ বিষয়টি দেখভাল করছে।

নলডাঙ্গা থানার ওসি উজ্জ্বল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বা আঘাতের কোনো আলামত মেলেনি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে বোঝা যাবে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কিনা। এ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :