অভিযানের আগেই আলামত সরিয়ে ফেলেন রাজীব

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:৩৫ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:০৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগে আটক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বাসা ও অফিস তল্লাশি করে তেমন কিছুই পায়নি র‍্যাব। আগে থেকেই সতর্ক থাকায় এই কাউন্সিলর তার আর্থিক লেনদেনের আলামত সরিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি র‌্যাবের।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলরকে আটকের পর মোহাম্মদপুরে তার বাসা ও কার্যালয়ে রাতভর তল্লাশি চালায় র‍্যাব।

অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মোহাম্মদপুরে তার বাসা এবং অফিসে তল্লাশি করেছি। সেখানে তেমন কিছু পাইনি। কারণ আমরা যা বুঝতে পেরেছি তার বাড়িতে আর্থিক লেনদেনসংক্রান্ত যেসব ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।’

১৩ অক্টোবর থেকে আত্মগোপনে থাকার পর শনিবার রাতে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার বন্ধুর বাসা থেকে আটক হন কাউন্সিলর রাজীব। এসময় তার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি এবং বিদেশি কিছু মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান র‌্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট।

রাতভর অভিযানের পর তেমন কিছু উদ্ধার না হওয়ার বিষয়ে এই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘তারই একজন সহযোগীর আত্মীয় বাড়ি থেকে চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে। আমার চেক করে দেখলাম ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে একদিনে (টাকা জমা দেয়ার তিনটি রশিদের মাধ্যমে) তিনি পাঁচ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন। আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখছি কোথায় তিনি জমা দিয়েছেন, টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে।’ আপাতত তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হবে বলে জানান তিনি।

অর্জিত আয়ের উৎস মুদ্রা পাচার কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘এই যে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছে এবং এই অর্থ সে কোথায় খরচ করেছে এবং যদি এখানে মানিলন্ডারিং ও মুদ্রা পাচারের কোনো বিষয় থাকে তখন মানিলন্ডারিং মামলা কিন্তু দায়ের করা হবে।’

রাজীবের ‘বৈধ আয়ের কিছু দেখতে পাচ্ছি না’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার সহযোগী এবং তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমার তো আসলে তার বৈধ আয়ের কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার যে একটি রাজকীয় বাড়ি রয়েছে এ বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বাড়ির প্রত্যেকটা আসবাবপত্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিস সে বাহির (বিদেশ) থেকে আমদানি করে নিয়ে আসছে। এটা তার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত বলে আমাদের মনে হয়েছে।’

‘কাউন্সিলর হওয়ার আগ পর্যন্ত তার দৃশ্যমান কোনো ধরনের ব্যবসা বা পেশা ছিল না। সিটি করপোরেশন থেকে যে সম্মানি পায় সেটা তার প্রধান ব্যবসা। এছাড়া যে বিষয়গুলো রয়েছে অবৈধ লেনদেন। সেটি যখন তদন্ত করা হবে তখন বেরিয়ে আসবে।’

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/কারই/জেবি)