কাউন্সিলর রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগে র্যাবের হাতে আটক ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে বহিষ্কার করেছে যুবলীগ। তিনি সংগঠনের ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
রাজীবকে শনিবার রাতে বসুন্ধরার একটি বাসা থেকে আটক করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে রাতভর মোহাম্মদপুরে তার বাসা ও অফিসে তল্লাশি চালায় সংস্থাটি। তিনি এখন র্যাব হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে রাজীব আটকের পরপরই যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ গণমাধ্যমকে তার বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হারুনুর রশিদ বলেন, ‘চলমান অভিযানে যুবলীগের কেউ দুর্নীতি বা অন্য কোনো কারণে গ্রেপ্তার হলে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা ছিল আমাদের। সেই মোতাবেক রাজীবকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন রাজীব। দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। তারপর থেকে অপরাধকর্মে তার বেপরোয়া হয়ে ওঠার সূচনা।
কাউন্সিলর হওয়ার পর রাজীবের লোকজন পাইন আহমেদ নামের একজন মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে বহিষ্কার হন তিনি। পরে ওই আদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং তিনি মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন।
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/জেবি)