মধুতে ফের ছাত্রদলের ওপর হামলা
প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:৪১ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:০৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর আবার হামলা চালিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের মঞ্চ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদল।
রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। অহতদের মধ্যে জিয়া হলের যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক হাসান মামুন, সাবেক তথ্যবিষয়ক সহ-সম্পাদক মামুন খান, জিয়া হলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজাহান শাওনের নাম জানা গেছে।
তবে ছাত্রদলের অভিযোগ, তাদের পাঁচজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতাল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের নামে যে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের স্ক্রিনশট ছড়ানো হয়েছে, তা ভুয়া দাবি করে বিষয়টি পরিষ্কার করতে সংবাদ সম্মেলনটি ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে মধুর ক্যানটিনে গিয়ে বসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বের হলে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্বকে আটকের চেষ্টা করে ডিবি পুলিশ। তাতে বাধা দেন নেতাকর্মীরা। এরপর ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একাংশ হাইকোর্টের দিকে যায়, আরেকটি অংশ যায় মধুর ক্যান্টিনের দিকে।
এদিকে ছাত্রদল যাওয়ার আগে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা। ফেসবুকে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদকের নামে একটি স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। তারা সবাই ছাত্রলীগের অনুসারী।
ছাত্রদলের একাংশ মধুর ক্যান্টিনে প্রবেশ করলে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাবি শাখার সভাপতি সনেটের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ছাত্রদল নেতাদের অভিযোগ, এতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাশ এবং তার কর্মীরা জড়িত।
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল থেকে কমনরুম ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কানেতা ইয়ালাম বলেন, ‘আজ দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা চেয়ার না পেয়ে ফ্লোরে বসেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও এসে হামলায় যোগ দেয়।’
তাকে এবং ছাত্রদলের হয়ে শামসুন্নাহার হলের ভিপি পদপ্রার্থী মানসুরা আলমকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ কানেতার।
হামলার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে ছাত্রলীগের কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি ।
এই হামলার ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় যে একজন ছাত্র আরেকজন ছাত্রের গায়ে হাত তুলবে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/মোআ)