কাউন্সিলর রাজীবের বিচার চান মোহাম্মদপুর আ.লীগ নেতাকর্মীরা

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহানগর উত্তর যুবলীগের বহিষ্কৃত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিচার চেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ অতীতের নানা ঘটনার জন্য কাউন্সিলর রাজীবকে দায়ী করছেন। এ সময় তারা রাজীবের বিপক্ষে নানা স্লোগান দেন।

রবিবার বেলা ১২টার পর রাজীবের বিচার চেয়ে ওয়ার্ডের বছিলা নতুন রাস্তায় জড়ো হন আ.লীগের নেতাকর্মীরা। যাদের অনেকেই রাজীবের অনুসারীদের হাতে বিভিন্ন সময় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিংবা তাদের স্বজনরা খুন-নির্যাতিত হয়েছেন বলে অভিযোগ।

মোহাম্মদপুরে চাঞ্চল্যকর তছির হত্যা মামলার আসামিদের বিচারের দাবিতে এই আন্দোলনে যোগ দেন তার বোন মুন্নি বেগম।

ঢাকা টাইমসকে তিনি বলেন, 'আমার ভাই মারা যাওয়ার আগে স্টেটমেন্ট দিয়া গেছেন। ১৯ জনকে আসামি করা হয়ছিল। এখন সবাই জামিন পাইয়া গেছে। ওরা সবাই রাজীবের লোক।'

রাজীবের নেতাকর্মীদের আক্রমণের শিকার হওয়া রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুম খান বলেন, 'গত রোজায় রাজীবের লোকজন আমাদের কোপাইছে। কিন্তু আমরা বিচার পাই নাই। আমরা বিচার চাই।'

এ ঘটনায় মো. মিলন, খায়ের আলম, শ্রী অমল কান্তি, মো. খোকন নামের আরও চারজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলে তিনি জানান।

সমাবেতদের একাংশ ফুটপাতের হকারদের থেকে রাজীব নেতৃত্বাধীন নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজীর অভিযোগ তোলেন। চাঁদা বন্ধের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, মডু কামাল, দেলোয়ার, সোহাগ, আল আমিন নামের চারজন এই চাঁদা আদায় করে আসছেন। 

ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দোকান প্রতি প্রতিদিন ২০০ টাকা হারে চাঁদা আদায় করতেন তারা। এক মাস আগেও এই চাঁদার পরিমাণ ছিল ১০০ টাকা। বছিলা রোডের এক পাশেই দোকান রয়েছে ২০৭ টি এবং অপর পাশে প্রায় চল্লিশটি দোকান রয়েছে৷ অর্থাৎ সেখান থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় হয় ৫০ হাজার টাকার বেশি। তবে গত দুই দিন ধরে এই চাঁদা আদায় বন্ধ রয়েছে।

৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের নেতারা এই আন্দোলনের ডাক দেয়। সময় মতো ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলেও গণমাধ্যমকে এড়িয়ে চলেন এসব নেতারা।

ঢাকাটাইমস/২০অক্টোরব/কারই/ইএস