ভোটার তালিকায় যুক্তের চেয়েও এনআইডির গুরুত্ব বেশি: সিইসি

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

ভোটার তালিকায় যুক্ত হওয়ার চেয়েও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার গুরুত্ব বেশি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া এখন কোনো কিছু করা যায় না। তাই নাগরিকরা ভোট দিতে পারুক না পারুক সেটা বিষয় নয়। বিষয়টা হলো তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হবে।

রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইটিআই ভবনে এক কর্মশালার উদ্বোধনকালে সিইসি এ কথা বলেন। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুগোপযোগীকরণ এবং ভোটার নিবন্ধন-সংক্রান্ত ফরমসমূহ পুনর্বিন্যাসকরণ শীর্ষক কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি বলেন, ‘এনআইডি পাওয়ার গুরুত্ব বেশি। কেননা এটা না হলে কোনো সেবাই পাওয়া যায় না। প্রবাসীদের তো আরও বেশি প্রয়োজন।’

‘জাতীয় পরিচয়পত্রে সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করা এবং ভোটার তালিকা থেকে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের নাম কর্তন করা একটা সমস্যা। এ সমস্যা থেকে উত্তরণে শিশুর জন্মের পর এবং কেউ মারা গেলে সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বিবৃতি আকারে জানানোর বিষয়ে ভাবতে হবে।’

ভোটার তালিকায় মৃতদের নাম একটা সমস্যা উল্লেখ করে নুরুল হুদা বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিল। কেউ মারা গেলে থানায় ভারবাল স্টেটমেন্ট দিতে হতো। কোনো বাড়িতে কোনো বাচ্চা জন্ম নিলে বা মারা গেলে থানায় মৌখিক তথ্য দিত।’

‘চৌকিদার গিয়ে বলতো যে, ওই বাড়িতে অমুকের একটা সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিংবা ওই গ্রামের ওই বাড়ির অমুক মারা গেছেন। চৌকিদাররা থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারে কি না ভাবা দরকার।’

অনেকে এনআইডিতে বয়স কমানোর চেষ্টা করে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ‘৪২ বছর বয়সের লোক ২৪ আর ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ হতে চায়। অনেকে বিয়ে পাস করার পর বলে পাসই করিনি। এতে দেখা যায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্য ৪-৫ বছর হয়ে যায়।’

এনআইডি তথ্য নেয়ার সময় বয়স ঠিক মতো নেয়া একটি জটিল সমস্যা উল্লেখ করে এ সমস্যা মোকাবিলা করতে পথ বের করার বিষয়ে ভাবারও তাগিদ দেন সিইসি।

(ঢাকাটাইমস/২০অক্টোবর/ডিএম)