ইংল্যান্ডে বর্ণবিদ্বেষ, বন্ধ হলো খেলা

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১১ | প্রকাশিত : ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১০

এ যেন সর্ষের মধ্যেই ভূত!‌ বর্ণবিদ্বেষের বিরোধিতা করে ব্যপক হৈচৈ করেছিলেন ইংল্যান্ডের ফুটবলাররা। এবার খোদ ইংল্যান্ডেই বর্ণবিদ্বেষে বন্ধ হয়ে গেল ফুটবল ম্যাচ। এফএ কাপে হারিঙ্গে বরো এবং ইয়োভিল টাউনের ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদ করে ২৫ মিনিট বাকি থাকতে দল তুলে নেয় হারিঙ্গে। পরে ম্যাচি বাতিল করা হয়।

খেলা শুরুই হয়েছিল দেরিতে। হারিঙ্গের সমর্থকরা অভিযোগ করেছিলেন, ইয়োভিলের সমর্থকরা বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। প্রথমার্ধ মোটামুটি কেটে যায়। সমস্যা বাধে দ্বিতীয়ার্ধে ইয়োভিল পেনাল্টি পাওয়ার পর। হারিঙ্গের ক্যামেরুনিয়ান গোলকিপার ডগলাস পাজেতাতকে কটূ মন্তব্য করা হয়।

গোলের পর যখন পাজেতাত জাল থেকে বল বের করে আনছেন, তখন তাঁর গায়ে থুতু দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করতে গেলে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করা হয় আরেক ফুটবলার কোবি রো–র দিকেও। বারবার ইয়োভিল সমর্থকদের শান্ত হওয়ার আবেদন করা হলেও তাঁরা শোনেননি। সমর্থকদের সঙ্গে একপ্রস্থ বাদানুবাদ হয় পাজেতাত এবং রো–র। শেষমেশ হারিঙ্গের ম্যানেজার টম লোইজু দলকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন।

পরে লোইজু বলেছেন, ‘‌কর্নার নেওয়ার সময় থেকেই আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্য করে বাঁদরের আওয়াজ করা হচ্ছে। সেটা উপেক্ষা করেই আমরা খেলা চালিয়ে যাই। কিন্তু ইয়োভিলের গোলের পর আমাদের গোলকিপারকে থুতু ছেটানো হয় এবং কোনও ধাতব পদার্থ ছুঁড়ে মারা হয়।’‌

তাঁর দাবি, আক্রমণের রেশ এতটাই বেশি ছিল যে রেফারিকেও অসহায় দেখাচ্ছিল। ‘‌এরপরেই আমি খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলাম কতটা চাপে রয়েছে ওরা। চুপচাপ বসে থেকে ওদের অসহায় অবস্থা দেখতে পারছিলাম না। তাই প্লেয়ারদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দিই।’‌ বলেছেন লোইজু।

তাঁর আরও সংযোজন, ‘অনেকদিন ধরে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম আমরা। তবে এফএ কাপ আমাদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হয়। যদি আমাদের শাস্তি দেওয়া হয় এবং প্রতিযোগিতা থেকে বের করেও দেওয়া হয়, তাহলেও কোনও সমস্যা নেই।’‌

আসরে নেমে পড়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল সংস্থা। তাদের দাবি, ‘‌গুরুত্ব সহকারে’‌ ঘটনার কড়া তদন্ত করা হবে। ফুটবলে যে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই একথা জানিয়ে তারা বলেছে, সমস্ত তথ্য খুঁটিয়ে দেখা হবে। যদিও এখন কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বর্ণবিদ্বেষ–বিরোধী সংস্থা ‘‌কিক ইট আউট’‌ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে।

বুলগেরিয়াতে গিয়ে যে ফুটবলারদের বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছিল, সেই টাইরন মিংস টুইট করেছেন, ‘‌অনেক সময় ছোটখাটো লিগে এসব ঘটনা চাপা পড়ে যায়। কিন্তু সবাই হারিঙ্গের পাশে আছে। আমাদের দেশও নিখুঁত নয়।’‌

(ঢাকাটাইমস/২১ অক্টোবর/এসইউএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :