‘ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে’

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৪৩ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:০১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হচ্ছে ‘অক্টোবর ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ, ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ, আমদা বাংলাদেশ এবং জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল যৌথভাবে মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।

১৯ অক্টোবর আমদা বাংলাদেশ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে জাতীয় পর্যায়ে ডাউন সিনড্রোম শিশু ও ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা, গ্রহণযোগ্যতা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং সমাজের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনার শেষে গজারিয়া আমদা বাংলাদেশ কমপ্লেক্সে,  বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ, ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের নিয়ে র‌্যালি বের হয়।

ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার এ রাজ্জাকের নেতৃত্ব ও সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপান থেকে আগত ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের অ্যাম্বাসেডর কাজুকো তাকেতানি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের পরিচালক প্রোগ্রাম লুনা রাজ্জাক এবং আমদা বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিরা সমাজেরই অংশ। সচেতনতার মাধ্যমে তাদেরকে সমাজের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগ নয়, বরং এটি শরীরের একটি জেনেটিক পার্থক্য (ভিন্নতার মাত্রা) এবং ক্রোমজমের একটি বিশেষ অবস্থা। ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তির দেহ কোষে একটি অতিরিক্ত ক্রোমোজম থাকে। অন্যদের তুলনায় সাধারণত এরা দেরিতে বসে ও কথা বলে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে।

সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে দুই লাখেরও বেশি ডাউন সিনড্রোমে শিশু ও ব্যক্তি রয়েছে। এসব ব্যক্তি সমাজে অবহেলিত। অথচ সঠিক যত্ন, পুষ্টিকর খাবার, স্পিচ ও ল্যাংগুয়েজ এবং ফিজিক্যাল থেরাপির মাধ্যমে ডাউন সিনড্রোম শিশুরা স্বাভাবিক শিশুদের মতো পড়ালেখা করে স্বনির্ভর হতে পারে।

অনুষ্ঠানে ‘ডাউন সিনড্রোম সচেতনতা মাস’ উপলক্ষে মানসিক বিকাশ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের নিয়ে শিক্ষা সফরের আয়োজন করা হয়। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, একাডেমিক সেশন এবং সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/এসএস/জেবি)