বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে পরকীয়ার কারণে ভারতে সিপিএম নেতা খুন

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:২৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বন্ধুর মেয়ের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার কারণেই খুন হয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের সূচপুর গণহত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সিপিএম নেতা সুভাষচন্দ্র দে।

বীরভূম পুলিশ জানায়, নিহত সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে তার এক বন্ধুর মেয়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। সুভাষ ও ওই তরুণী উভয়েই বিবাহিত ছিল। গত শুক্রবার নিখোঁজ হওয়ার দিন সুভাষ ওই তরুণীর বাড়ি যায়। সেখানে আপত্তিকর অবস্থায় ওই তরুণীর স্বামী মতিউর রহমান উভয়কে দেখতে পান। রাগে-ক্ষোভে মতিউর শাবল দিয়ে সুভাষচন্দ্রের ঘাড়ে আঘাত করলে সে অচেতন হয়ে যায়। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে উপর্যুপরি আরও কয়েক বার আঘাত করেন মতিউর। 

এরপর স্ত্রীর সাহায্যে সুভাষের শরীর কেটে তিন টুকরা করেন মতিউর। উভয়ে মিলে মাথা আর দু’পা পাশের অজয় নামক নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। আর দেহের বাকি অংশ একটা ব্যাগে বাড়ির নিকটে থাকা একটি পুকুরপাড়ের বাঁশবাগানে মাটি চাপা দেন স্বামী-স্ত্রী।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সুভা কে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন মতিউর ও তার স্ত্রী। পরে উভয়কে নিয়ে বাঁশবাগান থেকে সুভাষের দেহের একটি অংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও তার দু’পা এবং মাথা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

সুভাষচন্দ্র দে একজন জীবন বীমা এজেন্ট ছিলেন। পাশাপাশি তিনি রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ২০০০ সালের ২৭ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার সূচপরে সংঘটিত এগারো জন ভূমিহীন মানুষকে হত্যার ঘটনা ঘটে। যা ‘সূচপূর গণহত্যা’ নামে অধিক পরিচিত। এই গণহত্যার অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন সুভাষচন্দ্র দে। এই অভিযোগে তিনি কয়েক বছর কারাগারেও ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/আরআর