বাবাকে হত্যার পর ৯৯৯-এ ফোন ‘খুনি’ ছেলের
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার লতিফপুর এলাকায় স্কুলশিক্ষক বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের বিরুদ্ধে। হত্যাকাণ্ডের পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন ‘খুনি’ ছেলে। এ ঘটনায় ছেলে ইমরান হাশমি রাতুলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে বাবুল মাস্টার লতিফপুর গ্রামের আব্দুল রশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি কাপাসিয়ার উপজেলার তরগাঁও কোহিনুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে নিজ বাড়িতে বাবুল মাস্টারের সঙ্গে তার ছেলে রাতুলের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাতুল ঘরে থাকা রড দিয়ে বাবাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ছেলে রাতুল নিজেই জাতীয় তথ্য সেবা ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ছেলেকে আটক করে এবং বাবাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে মারা যান বাবুল।
আটক ইমরান হাশমি রাজধানীর উত্তরার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। তার বাবা বাবুল ডান পায়ে কৃত্রিম পা লাগিয়ে চলাচল করতেন।
ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর