প্রকল্পের নামে বারবার বিদেশ সফর নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:১৯ | আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১৭:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রকল্পের নাম করে কর্মকর্তারা যেন বারবার বিদেশ সফরে না যান এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পসহ পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্না সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন।  

একনেক সভায় চার হাজার ৬৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর একটি প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪৭৬ কোটি চার লাখ এবং বিদেশি ঋণ তিন হাজার ১৬০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ’ প্রকল্প নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয় এই একনেক সভায়। এতে ব্যয় হবে ২০৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। পুরোটাই সরকারি অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এই প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্পের কাজের জন্য বারবার যেন বিদেশ সফরে না যাওয়া হয়। একটা কমিটি করে একসঙ্গে গিয়ে যেন কাজগুলো করা হয়।’

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সৌদি আরবে এই ভবন নির্মাণের জন্য দলে দলে বিদেশে যাওয়ার সরকার নেই। সব কাজ একটি কমিটি গিয়ে যাতে করতে পারে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

এম এ মান্নান বলেন, আমাদের প্রচলিত নিয়ম আছে বিদেশে জমি দেখতে যায় একদল, তারপরে তা যাচাই-বাছাই করতে যায় একদল। টাকার পরিমাণ কত সেটা যাচাই-বাছাই করতে যায় একদল। এভাবে অনেক সময় আমাদের বিদেশে জমি হাতছাড়া হয়ে যায়। তাই সময় ও টাকা বাঁচাতে একবারেই বিদেশ গিয়ে সব কাজ করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। 

পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, এই কমপ্লেক্স প্রবাসীদের। তাই তারা যেন এখানে ফ্রি এক্সসেস পায়, পানি পায়, টয়লেট পায়। সেখানে গিয়ে যেন ভালোভাবে বসতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো-স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প;  এতে ব্যয় হবে  ৩১৭০ কোটি টাকা।

বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এই প্রকল্প সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব আশ্রয়কেন্দ্রে সংযোগ সড়ক থাকতে হবে। টয়লেটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। বৃষ্টি পানি ধরে রাখতে হবে। এছাড়া একটি স্টোর রুম করতে হবে। সেই স্টোর রুমে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সুরক্ষা করা হবে।

অন্য প্রকল্পগুলো হলো সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ (রংপুর জোন) (প্রথম সংশোধন)’ প্রকল্প; ‘দর্শনা-মুজিবনগর আঞ্চলিক মহাসড়ক (আর-৭৮৯) উন্নয়ন প্রকল্প এবং ‘চাষাঢ়া-খানপুর-হাজীগঞ্জ-গোদনাইল-আদমজী ইপিজেড মহাসড়ক নির্মাণ’প্রকল্প।

এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের পঞ্চম দফা মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/জেআর/জেবি)