চাঁদপুরে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন

প্রকাশ | ২২ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:১২

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

চাঁদপুুর শহরের রহমতপুর আবাসিক এলাকায় শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে গফুর মিজি নামে এক ব্যক্তিকে  যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন এই রায় দেন।

হত্যার শিকার গৃহবধূ সালমা বেগম (৩৮) চাঁদপুর শহরের উত্তর শ্রীরামদী মাদ্রাসা রোডের মৃত খালেক বেপারীর মেয়ে।

সাজাপ্রাপ্ত গফুর মিজি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের ভাটিয়ালপুর এলাকার চির্কা চাাঁদপুর গ্রামের মৃত রহমান মিজির ছেলে। তিনি পেশায় একজন শ্রমিক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ অক্টোবর দিনগত রাত ১০টার দিকে সালমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম (১৯) বোনের বাসায় আসেন। রাতের খাবার শেষে সাইফুল পাশের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫মিনিটে ঘরে আসেন গফুর মিজি। তখন স্ত্রী তাকে বলেন, আপনি রাতে দেরি করেন আসেন কেন? এত রাতে বাহিরে কি করেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।

পরদিন ২১ অক্টোবর ভোর ৬টায় সালমার ছোট ভাই সাইফুল ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে এবং গলাতে ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় ২১ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন ময়নার তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ নিশ্চিত হয় সালমাকে শ^াসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। সেই আলোকে সালমার মা রহিমা বেগম (৫৫) ১ জুলাই গফুর মিজিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ আসামি গফুর মিজিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হালিম সরকার তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্যাহ বলেন, মামলাটি চলমান অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকার পক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মো. সাইফুল ইসলাম শেখ।

ঢাকাটাইমস/২২অক্টোবর/ইএস