ভোলায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড, ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন স্থগিত

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর কঠোর নিরাপত্তার কারণে ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় বিএনপির ডাকা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেননি জেলার নেতাকর্মীরা।

বুধবার সকাল থেকে ভোলা জেলা বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের জেলা অফিস পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ঘিরে রাখে। এ অবস্থায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের কোনো নেতাকর্মীকে রাস্তায় দেখা যায়নি।

জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর জানান, তাদের অফিস বিপুল পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘিরে রাখায় কোনো নেতাকর্মী বের হতে পারেননি।

এদিকে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের বৃহস্পতিবারের মাববন্ধন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটির যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, তাদের ছয় দফা দাবি নিয়ে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সবগুলো দফা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা এখনও চলমান আছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক আহত মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য তাদের কাছে এক লাখ টাকা দিয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসার খরচ আরও দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। নিহত পরিবারের জন্য মুসলিম ঐক্য পরিষদের দাবি এক কোটি টাকা করে থাকলেও জেলা প্রশাসক সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা বলেছেন।

ঐক্য পরিষদের নেতা মিজানুর রহমান আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলো সকারের পক্ষ থেকে জেলা প্রসাসক অনেকটাই মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তার পরও প্রশাসনের সাথে আমাদের আলোচনা চলছে। আমাদের দাবি মানা হোক বা না হোক শুক্রবার বিকালে ভোলা সরকারি স্কুল মাঠে নিহতদের স্মরণে আমরা দোয়া মাহফিল করবো।

অপরদিকে বুধবার বিকালে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রধান ডিআইজি শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল (বোরাহানউদ্দিন) পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিআইজি শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২০ তারিখ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। যার প্রেক্ষিতে একাধিক মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করলেও তা ধীরে ধীরে কাটতে শুরু করেছে। পুলিশ তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোলা সদর ও বোরহানউদ্দিনে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আমি বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়েছি পুলিশদের সাথে আলোচনা করেছি।

তিনি আরো বলেন, এখানে সমাবেশটা শান্তিপূর্ণ ছিলো। সমাবেশে কিছু দুস্কৃতিকারী লোক ঢুকে পড়েছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। অতি শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।

অপর দিকে বোরহানউদ্দিনের সাধারণ তৌহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে মুসল্লিদের সংঘর্ষের দিন হিন্দু বাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে অজ্ঞাত ৫০০জন কে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক জানান, মঙ্গলবার গৌড় নিতাই আশ্রম মন্দির কমিটির নেতা সত্য প্রসাদ দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৫০০ জন কে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ১৯, তারিখ ২২-১০-১৯।

ঢাকাটাইমস/২৩অক্টোবর/ইএস