নুসরাতের মর্যাদা রক্ষার লড়াই একটা ইতিহাস: বিচারক

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৩৯ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১২:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ আলোচিত নুসরাত হত্যার রায় পড়তে গিয়ে বলেছেন, নুসরাতের মর্যাদা রক্ষার লড়াই একটি ইতিহাস। এটি একটি ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড।

বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি মানুষের সামনে আনার জন্য সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।

রায় ঘোষণার আগে আসামিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ নিয়ে কথা বলেন বিচারক। বলেন, আসামিদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণের জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়া উচিত।

রায়ে বিচারক অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।

রায়ের আগে শুনানির পর আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছিল রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা। অপরদিকে মামলায় ‘দুর্বল সাক্ষী ও বেশ কিছু অসঙ্গতি’ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে আসামিদের খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন তাদের আইনজীবীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/বিইউ/এমআর)