রায় শুনে অধ্যক্ষ সিরাজের কান্না
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আসামি সোনাগাজী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা। ফাঁসি রায় হওয়ার খবর শোনামাত্রই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটার পর ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার আগে সিরাজসহ মামলার ১৬ আসামিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। এ সময় সব আসামিই মুষড়ে পড়েন। এ সময় অধ্যক্ষ সিরাজকেও বেশ বিচলিত দেখা যায়।
বেলা ১১টা ৮ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। মাত্র ১২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড পড়েই রায় ঘোষণা করেন তিনি।
রায় শোনার পর কয়েকজন আসামি চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। আবার অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় অধ্যক্ষ সিরাজকেও কাঁদতে দেখা যায়। আসামিরা বাদীপক্ষের আইনজীবীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করেন। পরে পুলিশ পাহারায় আইনজীবীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
রায়ের পর সিরাজউদ্দৌলাসহ দণ্ডিত আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে সেখানেও কান্না করতে দেখা যায় সিরাজসহ কয়েকজনকে।
প্রিজন ভ্যানের ওপরের দিকে নেটের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় অঝোরে কান্না করছেন অধ্যক্ষ সিরাজ। লম্বা জামা ও টুপি পরিহিত এই শিক্ষককে দেখা যায়, হাত দিয়ে চোখ মুছতে। দুইজনকে দেখা যায় কান্নারত অবস্থায় চিৎকার করে কিছু বলতে। তারা কী বলেছেন তা অবশ্য শোনা যায়নি।
প্রিজন ভ্যানের ভেতরে ওই সময় দুইজন পুলিশকে হাঁটতে দেখা গেছে। আর অধ্যক্ষ সিরাজকে দেখা গেছে একবার একপাশে আসছেন, আরেকবার অন্যপাশে নেটের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে। আর কিছু পরপর চোখ মুছতে।
এদিকে আসামিদের যখন এই অবস্থা চলছিল তখন তাদের স্বজনদের আদালত চত্বরে বিলাপ করতে দেখা গেছে। তারা বলছিলেন, ন্যায়বিচার পাননি। আসামিরা নির্দোষ। এ সময় অনেককে আসামিদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে।
পরে ভ্যানে করে আসামিদের নিয়ে যাওয়া হয় ফেনীর কারাগারে। নিয়ম অনুযায়ী ফাঁসির আসামি হিসেবে তাদের কনডেম সেলে রাখার কথা।
(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/বিইউ/এমআর)