আসামি ধরা নিয়ে পুলিশের গুলিতে শিশুসহ আহত ২

কুমিল্লা প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪৯
ফাইল ছবি

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক আসামি গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক শিশুসহ দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ সময় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের উত্তরপাড়ার মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহাগকে গ্রেপ্তার করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন বাঙ্গড্ডা গ্রামের ভ্যানচালক কবির আহাম্মদের ছেলে রাকিব হোসেন (১১) ও মফিজুর রহমানের ছেলে ওমর ফারুক। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, নাঙ্গলকোট থানার এএসআই আবদুর রহিম, কনস্টেবল জাহিদ ও মানিক।

আসামির দাবি, তিনি জামিনে আছেন। পুলিশ দুই লাখ টাকা ঘুষ চাইছিল। পুলিশের দাবি, আসামির বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাঙ্গড্ডা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে সোহাগ পুলিশের ওপর হামলাসহ চার মামলার আসামি। এর মধ্যে দুই মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার ভোররাতে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে এএসআই আবদুর রহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

স্থানীয় লোকজন জানান, এ সময় সোহাগ সব মামলায় জামিনে রয়েছেন এবং থানায় রি-কল জমা আছে দাবি করে তার হাতকড়া খুলে দিতে বলেন পুলিশকে। এ নিয়ে তার সঙ্গে এএসআই আবদুর রহিমের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহাগের চিৎকারে তার ভাই ফারুকসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা সোহাগকে ছাড়িয়ে নিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে। এ সময় পুলিশ দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে সোহাগের ভাই ফারুক ও রাকিব নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা পুলিশ সদস্যদের একটি বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে এএসআই আবদুর রহিম, কনস্টেবল জাহিদ ও মানিক আহত হন। খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) সাইফুল ইসলাম সাইফ, নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ বিষয়ে সোহাগ বলেন, ‘জামিনে থাকার পরও আমার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট আছে বলে ধরে নেয়ার চেষ্টা করলে আমার মা ও স্ত্রী বাধা দেয়। আমরা দারোগা রহিমের কাছে ওয়ারেন্ট কপি দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। এ সময় তিনি আমাদের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে বলেন টাকা দিলে থানায় নেবেন না। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে, আমার অন্ধ মা এবং অন্তসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর করেন। আমাদের চিৎকার শুনে আমার ভাই এগিয়ে এলে তাকেও তিনি গুলি করেন।'

আহত শিশু রাকিব জানায়, সে পাশের বাড়িতে শোরগোল শুনে সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিল। এ সময় পুলিশ তাকে গুলি করে বলে অভিযোগ করে সে।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি মামুন অর রশিদ বলেন, ‘একাধিক পরোয়ানাভুক্ত আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে তার স্বজনরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় তিন পলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছে। আমরা আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।’

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :