আমদানি-রপ্তানির ব্যবসায়ী পেলেন বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ!

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৯, ২২:৫৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

অভিযোগ কেন্দ্রে পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে সারাদেশে আজ বৃহস্পতিবার সারাদেশে পাঁচটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে নানা অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এর মধ্যে ছিল দরপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীকে বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ দিয়ে বিপুল অংক বিল করা, ফেরি পারাপার ও ব্রিজের টোল আদায়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় প্রভৃতি।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ এবং উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অ্যান্টি করাপশন কমিশন বাংলাদেশ- এর ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়।

অভিযান নং-১

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন- ১০৬) আগত এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক অভিযান পরিচালিত করে। অভিযানকালে দুদক টিম জানতে পারে, ‘সুকর্ন ইন্টারন্যাশনাল কোং’ এবং ‘মেসার্স রুহী এন্টারপ্রাইজ’ নামীয় দু’টি প্রতিষ্ঠান আমদানি-রপ্তানিকারকের ব্যবসা করলেও তাদের আইইএম ইউনিটের বিজ্ঞাপন প্রচারের কাজ প্রদান করা হয়েছে। দরপত্রের শর্ত লংঘন করে এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বিল প্রদান করা হয়েছে মর্মে দুদক দলের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। অভিযানকালে টিম গত অর্থবছরে অনুষ্ঠিত ৪৮৬ টি ওয়ার্কশপের বিল-ভাউচার পর্যালোচনায় অসামঞ্জস্যতা পায়। এছাড়া টঘঋচঅ-এর আওতাধীন প্রকল্পের বরাদ্দকৃত টাকা ব্যয়েও অসামঞ্জস্যতা লক্ষ্য করা যায়। এ সকল অনিয়মসমূহের বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধানের অনুমতি চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

অভিযান নং ২ ও ৩

চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট ফেরি পারাপারের সরকার-নির্ধারিত টোলের অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। কুমিল্লা জেলা কার্যালয় হতে আজ এ অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত ফেরিঘাটে সরকার নির্ধারিত ফি ১২০ টাকা হলেও ৬০০ টাকা আদায়ের প্রাথমিক সত্যতা পায় অভিযানকারী টিম।

এছাড়া চাঁদপুরের ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত ব্রিজে টোল আদায়ের ক্ষেত্রে অপর একটি অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেছে একই টিম। অভিযানকালে টিম কর্ণফুলী ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানটির ইজারা সংক্রান্ত তথ্যাবলী জানতে চাইলে তারা দুদক টিমের নিকট প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। টিম উপরোক্ত অভিযোগ দুটির বিষয়ে সংগৃহীত সকল তথ্যাবলী বিশ্লেষণপূর্বক কমিশনের সিদ্ধান্ত চেয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে।

অভিযান নং ৪ ও ৫

যশোরের কেশবপুর উপজেলা পরিষদের পুরনো ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়ায় জোরপূর্বক টেন্ডার দরপত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে এবং রাজশাহী জেলা কারাগারের ক্যান্টিনে খাবারের মূল্য অধিক রাখা এবং নিম্নমানের খাবার সরবরাহের অভিযোগে যথাক্রমে যশোর জেলা কার্যালয় ও রাজশাহী জেলা কার্যালয় হতে দুটি পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/ইএস