তিন বছর ধরে ডাক্তার নেই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে
তিন বছর ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত চিকিৎসক। তাই প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে আসা মানুষের ভরসা সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্টের ওপর। ফলে উপযুক্ত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।
গত তিন বছর ধরে এভাবেই চলছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। শুধু এখানেই নয়, এই উপজেলার ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রেও গত দশ মাস ধরে নেই চিকিৎসক। এখানেও ভরসা সেই কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ফার্মাসিস্ট। ফলে চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার লক্ষাধিক মানুষ।
এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এই দুই ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, দ্রুত যাতে চিকিৎসক সংকট দূর করে সরকারি সেবা নেয়ার সুযোগ দেয়া হোক এখানকার সাধারণ মানুষকে।
জানা গেছে, মির্জাপুরের মহেড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. জিন্নাত রহমান ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।
বর্তমানে ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট অনিতা রানী দাস এবং উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার নজরুল ইসলামই এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির একমাত্র ভরসা বলে জানা গেছে।
নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে এই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গড়ে প্রতিদিন ৫০/৬০ জন নারী-পুরুষ শিশু চিকিৎসা সেবার জন্য এসে থাকেন। কিন্তু তারা সঠিক চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না।
অপর দিকে ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে গত জানুয়ারি মাস থেকে মেডিকেল অফিসার নেই। এখানেও রোগীদের ভরসা উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সুভাষ চন্দ্র চন্ডি এবং ফার্মাসিস্ট আব্দুল কাদের এই দুজনই এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির ভরসা বলেও জানা গেছে। কেন্দ্রটিতে নারী-পুরুষ শিশু মিলে প্রতিদিন গড়ে অর্ধশতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন।
উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র দুটিতে দীর্ঘদিন ধরে মেডিকেল অফিসার না থাকায় এলাকাবাসী সরকারি নূন্যতম স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে ঢাকা টাইমসকে বলেন মহেড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কাশেম।
তিনি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের প্রত্যাশা করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ওই উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র দুটিতে মেডিকেল অফিসার না থাকার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে মহেড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার জিন্নাত রহমান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের মাধ্যমে ২০১৬ সালের মার্চে টাঙ্গাইল জেলা সদর হাসপাতালে ডেপুটেশনে গিয়েছেন। অপর দিকে ফতেপুর উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. শামীমা আক্তার একইভাবে নেত্রকোণায় গত জানুয়ারি মাসে ডেপুটেশনের গিয়েছেন।’
এই অবস্থায় চিকিৎসক না থাকার বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বললেন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
ঢাকাটাইমস/২৫অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর