বোরহানুদ্দীন কলেজের অধ্যক্ষ-সভাপতির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪৬ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৪৮
রাজধানীর শেখ বোরহানুদ্দীন পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের অধ্যক্ষ ও গভর্নিং বডির সভাপতি মধ্যে বিরোধ আরও প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। এবার তারা কলেজের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে ধরেছেন। শনিবার কলেজে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
অধ্যক্ষ আবদুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একক সিদ্ধান্তে কলেজের জন্য জমি কেনার নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, শিক্ষকদের সঙ্গে অকারণে খারাপ আচরণ করা, বিভিন্ন অজুহাতে কলেজের ফান্ড থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া, এফডিআর করাসহ নানা অনিয়ম করছেন গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক মো. হারুনর রশীদ খান।’
এর জবাবে সভাপতি বলেন, ‘জমি কেনায় কোনো অনিয়ম হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রচার ও প্রকাশিত হচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, এ পর্যন্ত নানাভাবে কলেজের ফান্ড থেকে প্রায় ৫০ লাখ টাকার মতো অধ্যক্ষ অপচয় করেছেন। এরজন্য অধ্যক্ষকে দায়ী করেন সভাপতি।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নিজ বাড়িতে থেকেও ৪৫ হাজার টাকা ভাড়া হিসেবে গ্রহণ করেছেন। একটি গাড়ির জন্য দুজন ড্রাইভার ও মাসিক ৩০ হাজার টাকার তেল বাবদ নিয়েছেন।’
এই অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রের খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নেয়া হয়েছে যেটা কলেজের অফিস গ্রহণ করেছে। সেই টাকা পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা শিক্ষকদের মধ্যে নিয়ম অনুযায়ী বণ্টন করা হয়েছে।’ তিনি সাংবাদিকদের ওই অর্থ বণ্টনের বিল দেখান।
জ্বালানির বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়িটি কলেজের সব কাজে ব্যবহার হয়। তাকে কেবল আনা-নেয়া করা হয়। এর বেশি কোনো কাজে ব্যবহার হয় না। তাই খরচটা কলেজের কাজেই হয়ে থাকে।
আর বাড়ি ভাড়ার বিষয়ে তিনি বলেন, জিবির (গভর্নিং বডির) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের মতোই তিনি ভাতা নেন। এসব অভিযোগ ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকা’র অপচেষ্টা।
এসময় ৪০-৫০ জন শিক্ষক সভাপতির অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে কথা বলতে চাইলে সাংবাদিকদের সামনেই তিনি শিক্ষকদের ধমক দিয়ে চুপ করান। সভাপতি বলেন, ‘আমি গভর্নিং বডির সভাপতি হওয়ার পর থেকে কলেজের যেকোনো কাজে শতকরা হার কমেছে। যার কারণে অসাধু চক্র আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।’
কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ দাঁড় করানো হয়েছে সেগুলো ভিত্তিহীন। কলেজের যাকিছু হয়েছে সভাপতি সে বিষয়ে সম্পূর্ণ অবগত আছেন।’
এদিকে উত্থাপিত অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেখ বোরহানুদ্দীন কলেজের জিবির বৈঠক না করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি।
(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/টিএ/জেবি)