যশোরে ঠিকাদার হাবিব হত্যার রহস্য উন্মোচন

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৬ অক্টোবর ২০১৯, ২০:৩৫

‘প্রেমিকার সাথে কথা বলতে না পারায় যশোরের অভয়নগরে রঙমিস্ত্রির ঠিকাদার হাবিবুর রহমান খাঁকে গলাকেটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হাত পা বেঁধে পানির ট্রাংকের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ রক্তমাখা ছুরি, কাপড় এবং হত্যার সাথে জড়িত তার সহযোগী মামুন মোল্যাকে আটক করেছে।’ ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আটক মামুন মোল্যা হাবিব এসব তথ্য দিয়েছে।

শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে যশোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

আটক মামুন মোল্যা মাগুরা জেলার ডাঙ্গা শিমলা গ্রামের হাবিল মোল্যার ছেলে। নিহত হাবিবুর রহমান খাঁ বরিশালের সদর উপজেলার নড়াসিটি গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, যশোরের অভয়নগর উপজেলার বোয়ালমারী পোলের পাশে আলমগীর সরকারের আবাসিক ভবনের পানির ট্যাংক থেকে গত ১৯ অক্টোবর দুপুরে অর্ধগলিত অবস্থায় রঙ মিস্ত্রির ঠিকাদার হাবিবুর রহমান খার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর তার সহযোগী মামুন মোল্যা পালিয়ে যায়।

হত্যার রহস্য এবং হত্যাকারীদের আটকের জন্য অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) গোলাম কবির ও যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদের নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অভয়নগর থানার এসআই আব্দুর রহমান ও ডিবি পুলিশের এসআই অরুন কুমার দাস তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নেন।

সকালে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার দিন বাংলাবাজার এলাকার মামুনের ফুফুর ভাড়াবাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়।

প্রসঙ্গত, ১৫ অক্টোবর রাতে ঘুমের ওষুধ কিনে আলু ভর্তার মধ্যে হাবিবুর রহমানকে খেতে দেন মামুন। খাওয়ার পর সে ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে গলাকেটে হত্যা করে দুই হাত, দুই পা বেঁধে এবং হাতে পায়ে ইট ঝুলিয়ে ওই বাড়ির নিচ তলার ট্যাংকে ফেলে মুখ আটকিয়ে পালিয়ে যায়।

প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) জামাল আল নাসের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) অপু সরোয়ার, যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা।

(ঢাকাটাইমস/২৬অক্টোবর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :