একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৮:০৫

সৈয়দ মাহফুজ রহমান, পিরোজপুর

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় তেলিখালী ইউনিয়নের এক শিক্ষক দিয়ে চলছে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এটি উপজেলার জুনিয়া গ্রামের ১৩৬নং উত্তর জুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা একদিকে পর্যাপ্ত পাঠদান পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ঝরেও পড়ছে। প্রয়োজনীয় শিক্ষক চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিও পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সূত্র মতে, ১৩৬নং উত্তর জুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রায় এক বছর যাবত মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে। বর্তমানে ওই শিক্ষক একাই বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ৬২জন শিক্ষার্থীর পাঠদান দিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানানোর পরও বিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংকট কাটেনি।

জানা যায়, গেল আগস্ট মাসের মাঝামাঝি উপজেলার ৪৪নং মধ্য বোথলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পুলককে ১৩৬নং স্কুলে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেয়া হয়। তবে তিনি নিয়মিত ক্লাস নিতে স্কুলে আসেন না।

অভিভাবকরা বলছেন, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার থাকেন পিরোজপুরে। তিনি নিয়মিত ক্লাসে আসেন না। মাঝে মধ্যে তার স্বামী জনৈক শাহ-আলম স্ত্রীর পরিবর্তে এসে ক্লাস করান। এছাড়া প্রতি মাসে গড়ে ৫/৭ দিনই শিক্ষকশূন্য থাকে বিদ্যালয়টি। এমন চলতে থাকে সন্তানরা স্কুলে গিয়ে কী শিক্ষা লাভ করচে সেই প্রশ্ন অভিভাবকদের। সম্প্রতি ‘শিক্ষক নাই-শিক্ষক চাই’ শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভান্ডারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘উত্তর জুনিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মি. জেছের আলী ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এ বিদ্যালয়ের অনিয়মের বিষয়গুলো এতদিন আমার জানা ছিল না। যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষকস্বল্পতা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৭অক্টোবর/ডিএম/জেবি)