মদ, ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার
আজিজ মোহাম্মদের ভাতিজাকে খুঁজছে মাদক অধিদপ্তর
দেশের আলোচিত ব্যবসায়ী ও আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন হিসেবে পরিচিত আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের মালিকানাধীন দুইটি ফ্ল্যাট ও ও ভবনের ছাদে অভিযান পরিচালনা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে সন্ধান মিলেছে অনুমোদনহীন মিনি বারের। বিপুল পরিমাণে অবৈধ বিদেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের মদ, গাঁজা, সিসা খাওয়ার সামগ্রী, ক্যাসিনো খেলার সামগ্রী জব্দ করা হয়।
রবিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত গুলশান-২ এর ৫৭ নম্বর সড়কের ১১/এ বাড়িটির দুইটি ফ্ল্যাটে ও ছাদে অভিযান পরিচালনা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
যেসব ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়েছে তার একটিতে আজিজ মোহাম্মদের ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাই থাকতেন। তবে তিনি অভিযানের আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যান। তাকে আটকের চেষ্টা করছে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর।
এছাড়া ওই বাড়ি থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- নবীন ও পারভেজ। এই দুইজন কেয়ারটেকার ছিলেন এবং মাদক বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখানকার মিনি বারে মদ এবং সিসা বিক্রির অনুমোদন ছিল না বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ঢাকাটাইমসকে জানান, আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বাড়িটি দুইটি ভবনে বিভক্ত। একটি ভবনের চার তলার একটি ফ্ল্যাটে মদের গোডাউনের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখানে ছিল প্রচুর পরিমাণে বিদেশি মদ ও সিসা খাওয়ার সামগ্রী। এছাড়া ওপর ভবনটির চার তলা থেকে ১০ বোতল মদ এবং ভবনের ছাদে একটি মিনি বারের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে সিসা সেবনসহ ক্যাসিনো খেলা হত।
তিনি আরও জানান, মিনি মদের বারটির কোনো অনুমোদন ছিল না। এছাড়া এই বাড়িতে মদ সংরক্ষণ ও কেনাবেচারও কোনো অনুমোদন নেই। অভিযানে দুই জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী তারা মদ কেনা বেচা করত। তবে বিস্তারিত জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এসব অবৈধ মদ ও ক্যাসিনো খেলার সঙ্গে কারা সংশ্লিষ্ট এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের জানা মতো আজিজ মোহাম্মদ ভাই দীর্ঘ দিন ধরে বিদেশে থাকেন। তবে অভিযান চলা ফ্ল্যাটগুলোর মধ্যে একটিতে তার ভাতিজা ওমর মোহাম্মদ ভাই থাকতেন। তিনি অভিযানের আগেই বাসা থেকে পালিয়ে যান। তাকে আটকের চেষ্টা আমরা করছি। তবে এর সঙ্গে আর কে কে সংশ্লিষ্ট তা বের করার জন্য আমরা তদন্ত করছি।
‘আমরা খোঁজখবর নিয়ে দেখছি যে এর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা। যদি থেকে থাকে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাদের আত্মীয়-স্বজনের যদি সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলেও আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এই বাড়িটিতে এসব কার্যক্রম কোত দিন ধরে চলছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে শুধুমাত্র সেবনের জন্য এখানে মদ সংগ্রহ করা হয়েছে বিষয়টি এমন নয়। এত মদ সেবনের জন্য কেউ সংরক্ষণ করে না।
ঢাকাটাইমস/২৬ অক্টোবর/এসএস/ইএস