ধর্মঘটে স্থবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:৫২

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ডাকে সর্বাত্মক ধর্মঘট চলেছে। বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ ক্লাস-পরীক্ষা।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে সোমবার সকাল আটটা থেকে আন্দোলনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ও পুরাতন প্রশাসনিক ভবন এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে প্রবেশের ফটক আটকে অবস্থান নেন। এর ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে জাবির প্রশাসনিক কার্যক্রম।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান, কলা ও মানবিক অনুষদসহ সকল ভবনে ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ বয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ, প্রশাসনিক ভবন, বিভিন্ন অনুষদের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।

অবরোধ চলাকালে কলা ও মানবিক অনুষদের সামনে আন্দোলনের পক্ষে ও বিপক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ক্লাস-পরীক্ষা ও গবেষণা করতে চাই। কেউ আসতে চাইলে কাউকে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।’

আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক দর্শন বিভাগের শিক্ষক রায়হান রাইন বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি একটি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু তারা দুর্নীতির তদন্ত করতে চায় না। তাদের এই আলোচনা স্ববিরোধী এবং তা ফলপ্রসু হবে না।’

আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নেইনি।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. দিদার বলেন, ‘এতোদিন পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে যাইনি। এখন বাধ্য হয়েছি। আমরা কাউকে জোর করছি না, বরং শিক্ষার্থীরা আমাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে।’

গতকাল বিকাল পাঁচটায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত উপাচার্য অপসারণ মঞ্চ থেকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আজকের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

উপাচার্যের দুর্নীতির তদন্ত ও উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গত একমাস ধরে চলছে এ আন্দোলন। আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অনিয়ম ও দুর্নীতির খতিয়ান জাতির সামনে তুলে ধরে তার অপসারণ দাবি করেন। একইসঙ্গে উপাচার্যের সঙ্গে থাকা ‘দুর্নীতিবাজ’ শিক্ষকদের মুখোশ উম্মোচনের দাবি জানান তারা।

আন্দোলনের ধারাবাহিক কর্মসূচি হিসেবে উপাচার্যের কুশপুতল দাহ করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

ওই ঘটনার পর থেকেই আন্দোলনে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের মদদ আছে বলে প্রচার করতে থাকে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা। আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্য অপচেষ্টা বলে দাবি আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :