বিভক্ত তাবলিগের দুই অংশের ইজতেমা জানুয়ারিতে
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা আগামী জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। তিন দিন করে দুই পর্বের এই ইজতেমায় পৃথক পৃথক নেতৃত্ব দেবে তাবলিগে বিবদমান দুটি অংশ।
প্রথম পর্বের ইজতেমা শুরু হবে ১০ জানুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। এই অংশে নেতৃত্ব দেবে আলেম-উলামার নেতৃত্বাধীন মাওলানা সাদের বিরোধী অংশটি।
আর চার দিন বিরতি দিয়ে ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে ১৯ জানুয়ারি। এই অংশের নেতৃত্ব দেবেন দিল্লির মাওলানা সাদের অনুসারীরা। তবে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় এবারও মাওলানা সাদ ইজতেমায় অংশ নেবেন না।
সোমবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিশ্ব ইজতেমাসংক্রান্ত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, কাকরাইলের শুরা সদস্য মাওলানা যোবায়ের, মাওলানা রবিউল হক, আলেমদের পক্ষে মুফতি রুহুল আমিন, মাওলানা নুরুল আমিন, মুফতি মাহফুজুল হক, সাদপন্থীদের পক্ষে প্রকৌশলী ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মুফতি ইজহারুল ইসলাম ও মাওলানা আশরাফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তবে ইজতেমার আগে তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে বিশেষ জোড় ইজতেমা এবার হবে না। গত বছর এই ইজতেমাকে কেন্দ্র করে টঙ্গীতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
গত কয়েক বছর ধরেই তাবলিগ জামাতে চরম বিরোধ চলছে। গত বছর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ইজতেমাই অনিশ্চয়তায় পড়ে। পরে অবশ্য কয়েকজন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তাবলিগের দুই অংশের মুরব্বিরা দুই পর্বে পৃথক পৃথক নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অঘোষিতভাবে। তবে এবার ঘোষণা দিয়েই দুই পক্ষ আলাদা আলাদা ইজতেমা করতে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, তাবলিগ জামাতে দ্বন্দ্বের মূল সূত্রপাত দিল্লির মাওলানা সাদকে নিয়ে। তার কিছু বিতর্কিত মন্তব্য এবং কর্মকাণ্ডকে ঘিরে তাবলিগ এখন দুই অংশে বিভক্ত। তাবলিগের মারকাজ কাকরাইলে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পর এখন সমঝোতার মাধ্যমে ভাগাভাগি করে দুই পক্ষই কর্মসূচি পালন করেন। দেশের বিভিন্ন মসজিদেও এখন দুই অংশ ভাগাভাগি করে তাদের দাওয়াতি কাজ করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৮অক্টোবর/জেবি)