দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কাগজপত্র নিয়ে ‘উধাও’ মাদ্রাসাসুপার!

কুমিল্লা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ২১:৩১ | প্রকাশিত : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:২৯

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় দুর্নীতি ও শিক্ষকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে উধাও হয়েছেন এক মাদ্রাসাসুপার। গত প্রায় ২০ দিন ধরে অনুপস্থিত থাকা কাজিয়াতল দক্ষিণ পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করা হয়েছে।

জানা গেছে,ওই মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেন শিক্ষক ও কর্মচারীরা। এ বিষয়ে গত ১৩ অক্টোবর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয় মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটি। তিনি কোনো জবাব না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন।

এরপর গত ১৯ অক্টোবর মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠানের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র, নগদ অর্থ নিয়ে পলাতক থাকাসহ, বিভিন্ন অনিয়ম ও অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। সভায় মাদ্রাসার কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক অপসারণ করে সহ-সুপার আবদুল হাফিজকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী মাদ্রাসাসুপারের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত রউফ মিয়ার ছেলে।

মাদরাসা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘সুপারের নানা অনিয়ম ও অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখান। যার ফলে আমরা নিরুপায় হয়ে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করি। ’

‘এ ছাড়াও তিনি হিলফুল ফুযুল শিশু সদন কমপ্লেক্স নামে একটি এতিমখানার নাম ব্যবহার করে ৩৫ জন শিক্ষকের সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রকৃতপক্ষে ওই নামে কোনো এতিমখানা মুরাদনগরে নেই।’

মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী ঢাকা টাইমসকে বলেন, অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মোস্তাফিজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে পারেননি। তাছাড়া তিনি সপ্তাহে দুই দিন মাদ্রাসায় এসে বাকি চার দিনের স্বাক্ষর করতেন। ব্যবস্থাপনা কমিটি একাধিক সভায় তাকে মৌখিকভাবে নিজেকে শোধরানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। দিন দিন অনিয়মের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়। সর্বশেষ শোকজের জবাব না দিয়ে উল্টো মাদ্রাসার গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে ২০ দিন যাবৎ উধাও হয়ে আছেন।

নিরুপায় হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি।

মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোর বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছি।

ঢাকাটাইমস/২৯অক্টোবর/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :