শ্বশুরবাড়ি গিয়েই কিশোরীর আত্মহত্যা

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১২

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
ফাইল ছবি

১৬ বছরের কিশোরী মুক্তা খাতুন। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিবাহিত। শ্বশুরবাড়ি থেকে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল বাবার বাড়ি। পরীক্ষা শেষে বাবা আনারুল ইসলাম মেয়েকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন। কিন্তু বাবা বাড়ির পথ ধরার পর পরই কীটনাশক পান করে মেয়েটি। পরে হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

বুধবার রাত ১০টার দিকে মুক্তা কীটনাশক পান করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তার মৃত্যু হয়। মুক্তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেকের মর্গে রাখা হয়েছে।

মুক্তার এই আত্মহত্যা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তারাও কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে তদন্ত চলছে।

মুক্তার শ্বশুরবাড়ি রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পৌরসভার শ্যামপুর মোল্লাপাড়া মহল্লায়। তার স্বামীর নাম আল-আমিন। তিনি দিনমজুর। এলাকার বালুঘাটে কাজ করেন। মুক্তার বাবার বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে। ছয় মাস আগে তার বিয়ে হয়।

কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান, মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরীক্ষার জন্য সম্প্রতি বাবার বাড়ি গিয়েছিল। পরীক্ষা শেষে বুধবার তার বাবা তাকে শ্বশুরবাড়ি রেখে যান। এর কিছুক্ষণ পরই মেয়েটি কীটনাশক পান করে।

ওসি আরও বলেন, তরুণীর বাবার সঙ্গে কথা বলে জেনেছি শ্বশুরবাড়ির সবাই মুক্তাকে খুব ভালোবাসতেন। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করলো, তা কেউ বুঝতে পারছেন না। মেয়ের স্বামী বা শ্বশুরের বিরুদ্ধেও তার কোনো অভিযোগ নেই।

তবে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। আর মুক্তার আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করছে পুলিশ। এ নিয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হবে বলে তিনি জানান।

ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/এএইচ