আলফাডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণ খেয়াঘাট, পারাপারে ভোগান্তি
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মধুমতি নদীর টিটা খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ পারাপার হয়ে থাকেন। চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই খেয়াঘাটটি। নদী পারাপারের এই গুরুত্বপূর্ণ খেয়া ঘাটটি কাঁচা হওয়ায় সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের টিটা, শিকরপুর, ইকড়াইল, কুমুরতিয়া গ্রামের মানুষ এই খেয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হন। জনগুরুত্বপূর্ণ এই ঘাটটি কাঁচা। তাই বর্ষা মৌসুমে কম কষ্টে নদী পার হওয়া গেলেও পানি কমে গেলে পার হওয়া কষ্টকর। নদীতে পানি বাড়লে বেড়িবাঁধের পাশে আসার কারণে খেয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা বেড়িবাঁধের পাশে আনা সম্ভব হলেও পানি কমে গেলে চর জেগে উঠে। এ সময় খেয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা বেড়িবাঁধ থেকে অনেক ভেতরে নদীতে অবস্থান করায় পারাপারের মানুষগুলোকে কাঁদা-পানিতে ভিজে নৌকায় উঠতে হয়।
নদীর ওপার প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও ভ্যান দুই পারের মানুষের চলাচলের মাধ্যম। কিন্তু বর্ষার সময় এসব পার করা খুব কঠিন ব্যাপার। মোটরসাইকেল ও ভ্যান পারাপার করতে গেলে এসব নৌকায় ওঠানামা খুব কষ্টসাধ্য। তিন-চারজন মিলে উঁচু করে এগুলো পারাপার করতে হয়।
মহিন হাওলাদার নামে এক ভ্যানচালক বলেন, ‘নিচের থেকে রাস্তায় ভ্যান উঠোতি খুব খাটনি হয়। অনেক সময় ভ্যানের অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়।'
টগরবন্ধ ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাচান (শিপন) জানান, ‘টিটা খেয়াঘাটটি কাঁচা হওয়ার কারণে নদী পার হতে সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি হয়। বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমস্যা সমাধানে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।’
(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/এলএ)