সমাজসেবায় আলেমদের জোরালো ভূমিকা রাখার তাগিদ

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৪:২১ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৭

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

দিনব্যাপী ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনারের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো 'ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশন' নামের সামাজিক ফাউন্ডেশন। সেমিনারে ‘সামাজিক কার্যক্রমে ওলামায়ে কেরামদের অবদান’ শীর্ষক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেশবরেণ্য ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদরা আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কার্যক্রমের সাথে সবাই সমানভাবে অংশীদার থাকবেন বলে আশ্বাস দেন। এছাড়া সমাজসেবায় আলেমদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান।

বৃহস্পতিবার  (৩১ অক্টোবর)  শনির আখড়া দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই সেমিনার ও মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের শিল্পীদের সংগীতের মথ্য দিয়ে সকাল ৯.০০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর তিনটা পর্যন্ত প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য আলেম লেখক ও শিক্ষাবিদরা। সেমিনারে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যাত্রাবাড়ি জামিয়া মাদানিয়া মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা মাহমুদুল হাসান। তিনি তার দীর্ঘ আলোচনায় আলেমদের প্রতি অনুরোধ রেখে বলেছেন, সবাই যেন দীনের কাজের সাথে সাথে সামাজিক কাজে জোরালো ভূমিকা গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, আলেমরা সামাজিক কার্যক্রমে এগিয়ে এলে সমাজের অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

শায়খুল হাদিস আল্লামা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই মহা সম্মেলন ও সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দারুল উলুম হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সমাজে ইসলামের শিক্ষা এবং জীবন পালনে ইসলামের আদর্শ সঠিকভাবে বাস্তবায়িত না থাকায় সমাজে সন্ত্রাস, দুর্নীতি ইত্যাদি বেড়ে চলেছে। তাই আলেমদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।

এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত হয়ে জামিয়া নুরিয়া ইসলামীয়া কামরাঙ্গীচর মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেন, আমরা দীনের স্বার্থেই যে কোন কাজ করবো। কোন ধরনের ব্যক্তি পরিচিতি বা প্রচার পাওয়ার জন্য কিছু করবো না। সমাজের যেকোনো উপকার বা সমস্যার সমাধানে আলেমদের সকল ভূমিকার প্রতিদান আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই প্রদান করবেন। তিনি সামাজিক কাজে আলেম ওলামাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে অনুরোধ করেন।

সেমিনারে বিদেশি এনজিওদের দৌরাত্ম সম্পর্কে সতর্ক করে সামাজিক কাজে আলেম-ওলামাদের অবদান ও অংশগ্রহণের ব্যাপারে সার্বিক দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করে ওমনগণি এমইএস কলেজ চট্টগ্রাম এর সাবেক অধ্যাপক ড. আ ফ ম খালিদ হোসাইন ইকরামুল মুসলিমীন ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রাথমিক আহ্বায়ক কমিটির নাম ঘোষণা করেন।

এছাড়াও সেমিনারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন বাংলাদেশ কুরআন শিক্ষা বোর্ড এর মহাসচিব মাওলানা নুরুল হুদা ফয়েজী, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত পরিষদ মহাসচিব মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক অধ্যাপক যোবায়ের আহমাদ চৌধুরী, ইসলামি আলোচক মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সাংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতাউর রহমান মিয়াজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্সী বিভাগের সহকারী পরিচালক আহসানুল হাদী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. আহমাদ আবদুল কালাম, আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা. এর খলিফা মাওলানা ওমর ফারুক সন্দীপী, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এর পেশ ইমাম মুফতী মুহিব্বুল্লাহ বাকি নদভী, মাদানীনগর মাদরাসার প্রধান মুফতী, মুফতী বশিরুল্লাহ, বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, নুরুল আলম মাহদী, ইসলামী আলোচক আ. খালেক শরিয়তপুরী, বিশিষ্ট লেখক ও কলামিষ্ট মাওলানা যাইনুল আবেদীন।

আরও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবদুল আখির, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, শাহ ইফতেখার তারিক, জাগ্রত কবি মুহিব খান, মুফতী হামেদ জাহেরী, ইসলামী লেখক ফোরামের সভাপতি মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা হালিম নোমানী আল-আযহারী, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা সৈয়দ জহির উদ্দীন, মাওলানা লুৎফর রহমান ফরায়েজী প্রমুখ।

সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির পক্ষে বিশেষ মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুফতী হাবিবুর রহমান মিছবাহ, মুফতী মুহাম্মদ আমিমুল ইহসান, মাওলানা সফিউল্লাহ লহোরী, মাওলানা রুহুল আমীন সাদী, হাফেজ ক্বারী নেছার আহমাদ আন-নাছেরী, মাওলানা হুমায়ুন আইয়ুব, মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ আজাদী, মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, মুফতী ইয়াসীন আহমাদ ফারুকী, মুফতী সাঈদ আহমাদ, মুফতী মাহফুজুর রহমান জাবের, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা হাছিব আর রহমান, মাওলানা আবু বকর, মুফতী রেজাউল করীম আবরারসহ আরও অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/০১নভেম্বর/জেবি)