ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু কাল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০১ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:১০

ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলা নিয়ে ২ নভেম্বর (শনিবার) থেকে পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড, ময়মনসিংহ।

কাল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার মধ্যদিয়ে পরিপূর্ণ যাত্রা শুরু দেশের ১১তম এ শিক্ষা বোর্ডটির। ১২৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষায় অংশ নেবে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৫৩ শিক্ষার্থী। এতে মোট এক হাজার ৪৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২০ সালে এএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও এই বোর্ডের অধীনে হবে।

বোর্ড প্রতিষ্ঠার প্রজ্ঞাপন জারির পর কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর। বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামালকে।

বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল ঢাকা টাইমসকে জানান, নবগঠিত ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বোর্ড ডিজিটালে রূপান্তর হচ্ছে। ক্লোজ সার্কিট ক্যামরার আওতায় আনা হয়েছে বোর্ড অফিস। দ্রুত সেবা দেয়ার জন্য ই-ফাইলিং ও অনলাইন শিক্ষা প্রোফাইল কার্যক্রম চালু হয়েছে। নিয়ম-নীতি মেনেই স্কুল-কলেজের রেজিস্ট্রেশন, পরিদর্শন, নবায়ন, পাঠদান, স্বীকৃতি ও অনুমোদনের কাজ পরিচালিত হচ্ছে। স্থানাভাব ও জনবলের তীব্র সংকটের কারণে অমানসিক কষ্ট করতে হচ্ছে। তবু কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পিছ পা হচ্ছেন না শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা। জরুরিভিত্তিতে জনবল নিয়োগ ও স্থানাভাব দূর করা প্রয়োজন।

তিনি জানান, ময়মনসিংহ শহেরর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ (পুরুষ)-এর প্রমোট ভবনে এবং শহরের ঢোলাদিয়া রোড কাঠগোলা বাজারে দুটি ভাড়া বাড়িতে বোর্ডের কার্যক্রম চলছে। এ বোর্ডের অধীনে রয়েছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর জেলার নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।

শিক্ষা বোর্ড বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকারী সংগঠন জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন কালাম জানান, ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের প্রজ্ঞাপন জারি এবং ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগের পর দুবছরের মধ্যে একটি পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার সক্ষমতা অর্জন করায় বোর্ড কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, ময়মনসিংহে বোর্ড না থাকায় সবচেয়ে বেশি কষ্টের শিকার হচ্ছিলেন শিক্ষকরা। বোর্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষকদের সীমাহীন কষ্ট ও দুর্ভোগের অবসান হয়েছে।

ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পাবলিক পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের অংশ। এই বোর্ডের সকল পরীক্ষা যাতে আরো ভালোভাবে সম্পন্ন করা হয়, তার জন্য জেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১নভেম্বর/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :