দুর্ভোগে পবার চার গ্রামের মানুষ

দুই ইউনিয়নের মাঝে বলে সংস্কার নেই রাস্তার

রিমন রহমান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:২২

রাজশাহীর পবা উপজেলার একটি কাঁচা রাস্তা চলে গেছে দুটি ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু প্রায় দুই কিলোমিটার এই রাস্তার পুরোটিই কাঁদা। গাড়ি চলার উপায় নেই। তাই পায়ে হেঁটেই তাদের পথটি পাড়ি দিতে হয়। কৃষকরা তার জমির ফসল নিয়ে যান মাথায় নিয়ে। রাস্তাটি নিয়ে পবা উপজেলার চারটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।

রাস্তাটি পবা উপজেলার দামকুড়া ও হড়গ্রাম ইউনিয়নের দুটি ওয়ার্ডে। রাস্তার এক অংশের শুরু হড়গ্রাম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিয়াপুর জামে মসজিদের সামনে। আর শেষ দামকুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসারডাইং জামে মসজিদের সামনে। রাস্তাটি কখনোই পাকা করা হয়নি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, দুটি ইউনিয়নের মাঝামাঝি জায়গায় রাস্তাটির অবস্থান হওয়ার কারণে কেউই এটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেন না। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ইট বিছিয়ে এইচবিবিকরণও করা হয় না। কোনো রকম সংস্কারও হয় না। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদাপথ মাড়িয়ে তাদের চলতে হয়। আর গ্রীষ্মকালে ধুলোয় ধূসরিত পথ পাড়ি দিতে হয় তাদের। রাস্তাটির ওপর দিয়ে দুই ইউনিয়নের চারটি গ্রামের হাজারখানেক পরিবার সারাবছর চরম দুর্ভোগ পোহান।

হরিসাডাইং গ্রামের যুবক ইনসান আলী বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হওয়ার কারণে দুটি আলাদা রাস্তা দিয়ে তাদের গ্রাম থেকে বের হতে হয়। এতে স্থানীয় বাজারে যেতেই তাদের দুই কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়। আর রাজশাহী শহরে যেতে হলে ঘুরতে হয় চার কিলোমিটার পথ। ইনসান ঢাকা টাইমসকে বলেন, বর্ষাকালে আমরা স্যান্ডেল হাতে ধরে পথ চলি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হন কৃষকরা। জমিতে ফসল উৎপাদনের পর তাদের মাথায় করে বাড়ি নিয়ে যেতে হয়। গাড়ি চলে না।

স্থানীয়রা জানান, মিয়াপুর, ডাইংপাড়া, জুগিপুকুর ও মাওলাডাইং গ্রামের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু সংস্কার হয়নি। দুই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্যরা উদ্যোগ না নেয়ায় রাস্তাটি যুগ যুগ ধরে এভাবেই পড়ে আছে। তারা রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানিয়েছেন।

রাস্তাটির বিষয়ে জানতে চাইলে হড়গ্রাম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সিরাজুল ইসলাম কোনো মন্তব্য না করে বলেন, রাস্তাটির বেশিরভাগ অংশ পড়েছে দামকুড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। রাস্তার সংস্কার কেন হয় না সেটা সেখানকার ইউপি সদস্যই আমার চেয়ে ভালো বলতে পারবেন।

দামকুড়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য কামরুজ্জামান কামরু বলেন, আমার জন্মের পর থেকেই রাস্তাটা এভাবেই দেখছি। কিন্তু আমার কী করার আছে বলুন! রাস্তা সংস্কারের কোনো প্রকল্প তো পাই না।

জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) পবা উপজেলা প্রকৌশলী সাদরুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে বলেন, এই উপজেলায় আমি নতুন এসেছি। রাস্তাটার বিষয়ে কিছু জানি না। এখন খোঁজখবর নেব। এ রকম খারাপ রাস্তা থাকলে সেটা পাকাকরণের জন্য আমি উদ্যোগ নেব।

ঢাকাটাইমস/২নভেম্বর/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :