দেশের অদম্য অগ্রযাত্রায় দুর্নীতি-অর্থপাচার বন্ধ হওয়া উচিত

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:৫৯

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বের কাছে একটি রোল মডেলস্বরূপ। এই অগ্রগতিকে টেকসই করতে গেলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষ্যকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। তাতে যেন অন্যায়কারীরা ঘুষ-দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সুযোগ না পায়।

বর্তমানে সাধারণ জনমানুষের কাছে আমলাভীতি, পুলিশভীতির চেয়েও চিকিৎসকভীতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। কেননা সংঘবদ্ধ চিকিৎসক দল, যারা বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের নিতান্তই হাতগোনা। এদের একটি বড় চক্র এক ধরনের মাফিয়া নেক্সাস গড়ে তুলেছে। সাধারণ মানুষ জটিল অসুখ- বিসুখ হলে জায়গা-জমি বিক্রি করে দেশ থেকে বিদেশে যাচ্ছে। বৈধ এবং অবৈধ পন্থায় অর্থ পাচার হচ্ছে। এর ফলে ক্যাসিনো অর্থনীতির চেয়েও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে চিকিৎসা খাতে। এই চিকিৎসা খাত এখন দেশের মানুষকে আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে।

গবেষণা করে দেখা গেছে, কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মাসে এক থেকে দেড় কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করেন। এখন দেখুন কিভাবে তার আয় হচ্ছে। ওই ধরনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নতুন রোগীর জন্য ১৫০০ টাকা, পুরনো রোগীর জন্য ১০০০ টাকা করে যথাক্রমে ৪০জন+৪০ জন মোট ৮০ রোগী দৈনিক দেখেন। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কমিশন থাকে। আবার ওষুধ কোম্পানি থেকে থোক বরাদ্দ পান ১০ থেকে ১২ শতাংশ। এরপর আছে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২৫টি সিজারিয়ান, যার জন্য ৩০ হাজার টাকা করে তিনি নেন। আবার ডিএনসিসির জন্য ১৫ হাজার টাকা করে নেন। এভাবে অঙ্কটি থেকে কেন যে আমাদের এনবিআর সত্যিকার তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব আদায় করে না, সেটি বোধগম্য নয়।

একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মধ্যে কেউ কেউ রোবট হয়ে যান। তিন থেকে চারটি চেম্বার করেন। হাসপাতালের সময় প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালের সময়ের পর সেখানেই প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আমাদের জনসংখ্যা অনুপাতে কেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৈরি হচ্ছে না? সেজন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিশন গঠন করা দরকার।

সম্প্রতি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে। দেশে গবাদিপশুর হিসাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর আর বিবিএসের হিসাবের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। গবাদিপশুর ক্ষেত্রে এ ধরনের গরমিল মোটেও কাম্য নয়। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী ২০১৯ সালে গরুর সংখ্যা হচ্ছে ২.৮৪ কোটি এবং ছাগলের সংখ্যা হচ্ছে ১.৯২ কোটি।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২০১৮-১৯ সালে ২.৪২ কোটি গরু এবং ২.৬২ কোটি ছাগলের সংখ্যা রয়েছে। এ ব্যাপারে পরিকল্পনামন্ত্রী যথার্থই বলেছেন যে, ভবিষ্যতে কোন ধরনের শুমারি ও জরিপের মধ্যে ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। নচেৎ দুটো প্রতিষ্ঠানের দু’রকমের হিসাব কেবল জনগণকে বিভ্রান্ত করবে না- বরং নানামুখী বক্তব্যে মাঠ পর্যায়ের কৃষি শুমারির জরিপের পদ্ধতি নিয়ে যে ধরনের বক্তব্য আছে, তা যেন অসত্য প্রমাণিত হয়।

আসলে কৃষি শুমারিতে শুধু প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করলেই হয় না বরং জরিপকারীদের যথার্থ অর্থে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে তথ্যাবলী সংগ্রহ করার দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল। আবার জরিপের ফলাফল সংগ্রহ করলেই হবে না- জরিপের তথ্য-উপাত্ত যাতে সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করলে তা দেশের মানুষের উপকারে আসে তা দেখতে হবে। নীতিনির্ধারকদের কাজ করতেও সুবিধা হবে।

আসলে যে মূল সমস্যা, সেটি প্রাণিসম্পদের অধিকারীরা মোটেই লক্ষ্য রাখছে না। বিদেশ থেকে বিশাল আকৃতির গরু সংগ্রহ করে লালন-পালন করছে, পালনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে। অথচ এদেশের এনজিও এবং গবাদিপশুর খামারিদের স্বল্প খরচে দেশীয় গবাদিপশুর লালন-পালন করা প্রয়োজন ছিল। একটি গরু যখন কোরবানির সময়ে ৩৮ লাখ টাকা বিক্রি হয়, তখন এটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বরং দেশের সাধারণ মানুষের কাছে দৃষ্টিকটু লাগে। আবার শুধুমাত্র আবহাওয়াজনিত কারণে, পরিবেশগত কারণে দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে দশ থেকে পনেরো লাখ টাকার গরু কোরবানির হাটে মারা যায়। সেক্ষেত্রে শঙ্কর জাতের দেশি গরুর আকার এবং প্রকৃতি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি গবাদিপশুর লালন-পালন খরচ কমাতে হবে। এজন্য খামারিদের যেমন প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে, তেমনি সস্তায় লালন-পালন করার জন্য যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। নচেৎ উচ্চ খরচের কারণে ভোক্তা শ্রেণি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বেশি দামে মাংস কিনতে হচ্ছে। এ সুযোগে বাজারে চাহিদা থাকায় বিদেশ থেকে মাংস আমদানি করা হচ্ছে- যাতে করে ক্রেতারা ফেয়ার প্রাইসে মাংস ক্রয় করতে পারে।

চাহিদা এবং সরবরাহের মধ্যে এক ধরনের ভারসাম্য থাকা দরকার- যাতে উচ্চ উৎপাদন খরচের জন্য ক্রেতারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আবার মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা দেশ থেকে বিদেশে চলে না যায়। কারণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশের উন্নয়নকল্পে ব্যয়িত হওয়া বাঞ্ছনীয়।

আশ্চর্যের ব্যাপার, ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির পরও এক সময়ে খালেদা জিয়ার বডিগার্ড লোকমান হোসেন ভূঁইয়া এখনও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক হিসেবে বহাল তবিয়তে বিদ্যমান। এটি কি করে সম্ভব? তর্কের খাতিরে না হয় ভাবলাম, আদালত পর্যন্ত কেসটি গড়ায়নি। কিন্তু এ ধরনের লোককে কারা বিসিবিতে পরিচালক পদে নিযুক্ত করেছিল, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত করা উচিত।

সাকিব আল হাসানের ঘটনাটি বেদনাবিধুর হলেও বাস্তব। চারবারের ঘটনা, একবারও জানাবেন না- তার মতো একজন অথবা তাদের কাছ থেকে দেশবাসী অপ্রত্যাশিত আঘাত পেয়েছে। অথচ মোহাম্মদ আশরাফুলের মতো ক্রিকেটার অন্যায়ের শাস্তি শেষ করলেও তাকে কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ বিসিবি দেয়নি। এদিকে বিসিবির বিরুদ্ধে সকল নিয়ম-নীতি বাদ দিয়ে শ্রমিকদের মতো তারা হঠাৎ ধর্মঘট করেছিল। তাদের নিয়ম অনুযায়ী আগে নোটিশ প্রদান করা উচিত ছিল।

প্রধানমন্ত্রীর সময়োচিত হস্তক্ষেপে এ ধর্মঘটের অবসান ঘটেছে। সবক্ষেত্রেই প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্ত প্রয়োজন হয়। সেজন্যই জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষা দেয়ার কাজটা নিজের ঘর থেকে শুরু করেছি। আশা করব, দেশের মানসম্মত স্কুল-কলেজগুলোতে উপযুক্ত গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান থাকবেন।

সিটি কলেজ ধানমন্ডির গভর্নিং কাউন্সিলের একদা চেয়ারম্যান ছিলেন মোহাম্মদ ফরাস উদ্দীন। আর সেই প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদের স্থলে এমন একজনকে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান করা হয়েছে, যার আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান অধঃগতি হচ্ছে। পাশাপাশি বিএনপি-জামাতিরা শিক্ষক পদ দখল করছে বলে অভিযোগ আছে।

বুয়েট সম্পর্কে একদা একজন প্রখ্যাত বুয়েটেশিয়ান ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন যে, ৯০ শতাংশ শিক্ষক বিএনপি-জামায়াতপন্থি। তাদের কারণেই বুয়েটে বিভিন্ন উপাচার্যের আমলে এক ধরনের অচলাবস্থা বিরাজমান। কয়েকদিন আগে আবরারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে নাগরিক টিভিতে বুয়েটের এক অধ্যাপক যেভাবে বুয়েটের ঘটনা নিয়ে সরকারকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দোষারোপ করলেন, তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ইতোপূর্বে বুয়েটের বিভিন্ন আন্দোলনে এবং একই সঙ্গে বুয়েট ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সময়ে তিনি যখন চাকরি করতেন, তখন দেখেছি তিনি একজন বিশুদ্ধ জামায়াতী ও বিএনপি ধারণায় শুধু দুষ্ট নন, বরং ওই ধারায় আরও অন্যান্য শিক্ষক, ছাত্রছাত্রীর মধ্যে তার মতাদর্শ ছড়িয়ে দেন। বুয়েটে আবরারের হত্যাকাণ্ড গর্হিত কাজ, অত্যন্ত নিন্দনীয়। সেখানে ছাত্র রাজনীতির নিষেধাজ্ঞায় যাতে শিবিরের অনুপ্রবেশের সুযোগ না ঘটে সেটি দেখা দরকার।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গেস্ট রুম-গণরুম বন্ধ করা, র‌্যাগিং বন্ধ করা দরকার। ছাত্রলীগ একটি প্রগতিশীল সংগঠন। দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন, অসাম্প্রদায়িক নীতিমালার বিকাশ ও বঙ্গবন্ধু থেকে শুরু করে অবিসংবাদিত নেত্রী শেখ হাসিনার আদর্শ বাস্তবায়নে সততার সঙ্গে, নির্যাতন বন্ধ করে, কল্যাণের তরে কাজ করে যেতে হবে। এ যাত্রাপথ বন্ধুর হলেও এককালে আমরা যারা শিবিরের বিরোধিতা করেছি, তাদের অত্যাচার ও মৃত্যু ভয় উপেক্ষা করে যখন ছাত্রলীগ করেছি, তখন কোন কিছুর বিনিময়ে করিনি।

এখনও যখন প্রধানমন্ত্রীর কোনো বক্তব্য শুনি, গভীর শ্রদ্ধায় আমাদের মন আপ্লুত হয়। যারা আমার মতো আওয়ামীলীগ প্রেমিক, তারা সবাই একইভাবে ভাবেন। মুষ্টিমেয় লোকের জন্য দলের বদনাম হতে পারে না।

দেশের অদম্য অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে দুর্নীতি-ঘুষ বন্ধ হওয়া উচিত। আজ উন্নয়নের রথচক্রে বাংলাদেশের অবস্থান সুউচ্চে। কিন্তু দুর্নীতি-ঘুষ বন্ধ করা কেবল সরকারের একার দায়িত্ব নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও নয় বরং সামাজিক প্রতিরোধ দরকার। শিক্ষক রাজনীতি-যারা ছাত্রছাত্রীদের ব্যবহার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। অনেকে ভাল রেজাল্ট করার পরও চাকরির সুযোগ পাচ্ছেন না। কিন্তু মামা-চাচার জোরে বেশ ভাল অবস্থানে আছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

বর্তমান তরুণ প্রজন্ম নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায়। এদিকে মাস্টার্স পাস করে বেসরকারি খাতে মাত্র পনেরো হাজার টাকা বেতন দিতে চায়। সেখানে কি সরকারের ন্যূনতম মজুরি দেয়ার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। যেখানে একজন ড্রাইভারের বেতন ন্যূনতম পক্ষে ১৯,৫০০ টাকা মাসিক এবং দুটো ঈদ বোনাস, সেখানে শিক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের স্বল্প বেতনে চাকরি দেয়া অত্যন্ত অন্যায্য।

এদিকে ব্যাংকিং খাতের আমূল সংস্কার করা দরকার। শেয়ার বাজারকে নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যারা গত আট বছর ধরে জবরদখল করে আছে তাদের হাত থেকে বাঁচাতে হবে। অন্যায়কারীরা অন্যায় করে পার পেয়ে যায়।

এদিকে কিভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারিভাবে গুদাম ঘরে পরিচালিত হয়, স্কুপাস লিস্টের জার্নালে লেখা ছাপা না হলেও দলের কারণে প্রমোশন পায়, সম্মানে তৃতীয় শ্রেণি পাওয়ার পরও ডক্টরেট থাকলেও যখন শিক্ষকতা করার উপযুক্ত নয়, তাকে অধ্যাপক করার জন্য নাচানাচি শুরু করে, তখন কিছু বলার থাকে না। দেশের অগ্রযাত্রায় প্রতিটি স্তরে দুর্নীতিরোধ করা বাঞ্ছনীয় হয়ে পড়েছে। পেরেটো অপটিমালিটি অর্জনে সরকারি-বেসরকারি খাতকে কাজ করতে হবে।

নারীদের যে অগ্রযাত্রা তাকে সুসংহত এবং টেকসই করতে হবে। অন্যদিকে শিক্ষিত বেকারদের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাশাপাশি উদ্যোক্তা শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে হবে। এজন্য ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে স্নাতক, পোস্ট গ্রাজুয়েট এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে উদ্যোক্তা অর্থনীতির প্রোগ্রাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনক্রমে চালু করা হয়েছে। এখন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সে অর্থনৈতিক ইনকিউবেটর স্থাপনে প্রথিতযশা কোম্পানিসমূহ সিএসআরএর আওতায় এগিয়ে আসতে হবে। এ ব্যাপারে ব্যাংকসমূহ কাজ করতে পারে। দেশের অগ্রযাত্রায় সত্যিকার শিক্ষকদের মূল্যায়ন করা দরকার।

ভাল গবেষকদের সম্মানিত করা উচিত। কেবল মুষ্টিমেয় একটি-দুটি বিশ্ববিদ্যালয়, যা আবার সরকারি তার ওপর নির্ভর না করে বরং সামগ্রিক পটভূমিতে বিশ্লেষণ করা উচিত।

লেখক: ম্যাক্রো ও ফিন্যান্সিয়াল ইকোনমিস্ট, শিক্ষাবিদ।

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।