‘ওষুধশিল্পের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা কাঁচামাল সংকট’

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০১৯, ১৮:৪৪

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কাঁচামাল আমদানির ওপর বেশি মাত্রায় নির্ভরতা দেশের ওষুধশিল্পের জন্য অন্যতম প্রতিবন্ধকতা বলে জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর। স্থানীয়ভাবে অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়ান্ট (এপিআই) উৎপাদন আরও বাড়ানোর জন্য দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।

শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এপিআই খাতের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)’র নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

ওসামা তাসীর বলেন, দেশীয় এপিআই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ মোট আমদানিকৃত এপিআই’র প্রায় ৫ শতাংশ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং এটি আমদানিকৃত এপিআই’র চেয়ে তুলনামূলকভাবে সস্তা।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি উল্লেখ করেন, এই খাতে গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহরে পাশাপাশি বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যক্রম আধুনিকায়নে সরকার ও বেসরকারি খাতকে একযোগে কাজ করতে হবে।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০৩৩ সালের পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি টেকসই ফার্মাসিউটিক্যাল খাতের বিকাশে আমাদের অবশ্যই এপিআই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্বনামধ্য প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে স্থানীয় উদোক্তারা যৌথ বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে হবে, যা এখাতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ করে দিতে সক্ষম হবে।    

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯৮ শতাংশ চাহিদা মেটাতে সক্ষম, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। তিনি বলেন, বতর্মানে আমরা প্রায় ১২০টি দেশে ১৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ওষুধ রপ্তানি করছি এবং এটি আমাদের ওষুধ খাতের সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দেশে উৎপাদিত ওষুধের গ্রহণযোগ্যতার বহিঃপ্রকাশ।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ রবিউল ইসলাম।

নির্ধারিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই আহ্বায়ক ও অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস্ লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান মো. জিয়া উদ্দিন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেল-এর পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, এক্সিম ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিচালক (এপিআই প্রজেক্ট) ড. শেখ মাকসুদুর রহমান এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রাক্তন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ড. জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক (অব.)। আলোচকরা একটি টেকসই এপিআই খাতের বিকাশে ক্রমাগত গবেষণা পরিচালনা, স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা প্রদান, শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান, ঔষধ নীতিমালার দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর আলোকপাত করেন।

(ঢাকাটাইমস/০২নভেম্বর/জেআর/জেবি)