মুচলেকায় জামিন পেলেন ড. ইউনূস

প্রকাশ | ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৪৫ | আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৭:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত কর্মচারীদের করা পাঁচ মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন নাবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকিয়া পারভীন নোবেল  বিজয়ীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে ড. ইউনূস জামিন আবেদন করতে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে শ্রম আদালতে যান। তিনি প্রথম শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শাহজাহানের খাস কামরায় গিয়ে বসেন।

তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় ড. ইউনূস দুপুর ১২টায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক জাকিয়া পারভীনের দ্বিতীয় শ্রম আদালতের এজলাসে যান। বিচারক জাকিয়া পারভীন এজলাসে উঠলে শুনানি শুরু হয়।

ড. ইউনূসের আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, ড. ইউনূস সম্মানিত ব্যক্তি। বয়সেও প্রবীণ এবং অসুস্থ বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করা হোক।

শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক মামলায় ১০ হাজার টাকা করে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় ড. ইউনূসের জামিন মঞ্জুর করেন।

এরপর আইনজীবী ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৫ ধারায় ড. ইউনুসের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার আবেদন জানান। আদালত তাও মঞ্জুর করেন। তবে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ড. ইউনূসকে উপস্থিত থাকতে বলে আদালত। 

বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ড. ইউনূস কাঠগড়া থেকে নেমে আবার প্রথম শ্রম আদালতের খাস কামরায় যান। সেখান থেকে ১২টা ৪০ মিনিটে বের হয়ে আদালত চত্বর ত্যাগ করেন তিনি।

গত ২৮ অক্টোবর ড. ইউনূস হাইকোর্টে আত্মসমর্পণ করলে হাইকোর্ট ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাকে শ্রম আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই সময়ের মধ্যে তাকে হয়রানি না করতেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা চলতি বছরের বিভিন্ন সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনের বিরুদ্ধে ওই মামলাগুলো করেন। মামলায় প্রথম আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল। তিনি আদালতে হাজির না হওয়ায় পরে ৩টি মামলায় আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

বাদিরা মামলায় অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার কারণে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩নভেম্বর/এসএস/জেবি)