রিমান্ড শেষে কাউন্সিলর রাজীব কারাগারে
অস্ত্র এবং মাদক মামলায় চৌদ্দ দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ অস্ত্র মামলায় এবং মহানগর হাকিম মোহাম্মদ দিদার হোসাইন মাদক মামলায় শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
এর আগে ২১ অক্টোবর ওই দুই মামলায় রাজীবকে সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড দেয়া আদালত।
রিমান্ড শেষে সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান রাজিবকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আর রাজীবের পক্ষে অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনসহ কয়েকজন আইনজীবী জামিন আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই লিয়াকত আলী জামিনের বিরোধীতা করেন।
গত ১৯ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও নগদ টাকাসহ গ্রেপ্তার করে ব্যাব। ওই ঘটনায় র্যাব-১ এর ডিএডি মিজানুর রহমান ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করে ।
রাজীব ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনি মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এক মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে তিনি আবার ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। রাজীব নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। চাচারা নির্মাণ কাজের ঠিকাদারি করেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই রাজীবের পরিবর্তন শুরু হয়। অল্প কয়েক বছরেই ঢাকায় বাড়ি-গাড়ি ও কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান।
ঢাকাটাইমস/০৪নভেম্বর/ইএস